চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর দেশের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণসহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
, ২৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
বদলাচ্ছে দেশের অর্থনীতির আকার। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। কর্মসংস্থানের একটি বড় অধ্যায় হল আত্মকর্মসংস্থান। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেয়। একজন আত্মকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবে, যখন সে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি করে উদ্যোক্তারা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছে, ‘শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে হবে। শুধুমাত্র পাস করেই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে হবে এবং অন্যকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ’
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা। এক হিসেবে, দেশে ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা রয়েছে। তবে উদ্যোক্তা বাড়লেও উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে দেশে।
দেশের কৃষি খাত কিছুটা ঋণ পায়। এর কারণ হচ্ছে, এর সাথে খাদ্য-নিরাপত্তার সম্পর্ক রয়েছে এবং সরকারের নীতিগত অবস্থান ও মনোযোগ রয়েছে। কৃষিঋণ নিয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্টের একটা ব্যাপারও আছে। এ ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমগুলোও বেশ সজাগ। কিন্তু এসএমই খাতের ঋণ নিয়ে এখনো পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়নি, কেউই সোচ্চার নয় এবং মিডিয়াও খুব বেশি কথা বলে না।
এ খাতে একটা সমস্যা হচ্ছে অর্থায়ন সঙ্কট। এর উদ্যোক্তারা ব্যাংক ঋণ কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খুব কম পায়। বেশির ভাগ সময় তারা মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন তথা এনজিওর ওপর নির্ভরশীল। অবশ্য কিছু ব্যাংকের এসএমই সেক্টর কর্মসূচি তাদের কিছু সহায়তা করে থাকে। এর বাইরে গতানুগতিক ভাবধারায় চলা ব্যাংকগুলো তাদের অর্থায়ন করতে চায় না। তাদের ঋণ দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ, অল্প অল্প করে অধিক মানুষকে ঋণ দিতে হয়, সুপারভিশন করতে প্রচুর সময় ব্যয় হয়। এ রকম নানা অজুহাত দেখিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো। ফলে উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়।
বিগত তথাকথিত লকডাউন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকার থেকে যে প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে রফতানি খাত, বিশেষ করে আরএমজি এক্সপোর্ট সেক্টর, তারপর বৃহৎ শিল্পের অন্যান্য সেক্টরে অতি দ্রুত প্যাকেজের টাকা শেষ হয়ে যায়; কিন্তু এসএমই খাতে ব্যাংকগুলো বরাদ্দ টাকা দিতে পারেনি।
উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধানগত শর্ত পূরণ এবং একই উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দেশে যেসব হয়রানি, দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়মের চর্চা রয়েছে, সেগুলোও উদ্যোক্তাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অনেক সম্ভাবনাময় আগ্রহী নতুন উদ্যোক্তাই এসব ‘ব্যয়বহুল’ ও হয়রানিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার ধরন দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ: বাংলাদেশে যেকোনো ব্যবসায় বা শিল্প শুরু করার জন্য প্রথমেই দরকার হয় স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স। এ ট্রেড লাইসেন্স পেতে যুক্তিসংগত পরিস্থিতিতে সাধারণভাবে কত দিন লাগার ও কত ব্যয় হওয়ার কথা, আর বাস্তবে কত দিন লাগে ও কত ব্যয় হয়, তার একটি হিসাব করলেই উদ্যোক্তা উন্নয়নের পুরো প্রক্রিয়ার হয়রানি ও ‘ব্যয়’ সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব।
এক কথায়- প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার সংশ্লিষ্টরা উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করলেও দেশের উদ্যোক্তারা অবহেলাপূর্ব পরিস্থিতির শিকার। অন্যদিকে- উদ্যোক্তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ শুধু বক্তৃতা-বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থাকায় উদ্যোক্তা জাতীয় অর্থনীতিতে যতটা অবদান রাখার কথা ছিলো ততটা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের নয়। বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০ থেকে ২৫% অবদান এসএমই খাতের। কিন্তু ওইসিডিভুক্ত ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলোর জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৫৫%। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে ৬০ থেকে ৭০% অবদান রাখছে এসএমই খাত। বেশির ভাগ কর্মসংস্থানও তাদের এসএমই খাতে।
প্রসঙ্গত, পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা না পেলেও এই উদ্যোক্তারা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখেন ২৫%। উদ্যোক্তাদের কারণে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, উদ্যোক্তাদের বহুবিধ সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয় তাহলে উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরো সুঠাম করতে পারতো।
আমরা মনে করি সরকারের উচিত- উদ্যোক্তাদের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করার পাশাপাশি তাদের জন্য সুদবিহীন ব্যাংক ঋণ, উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যবসায়িক নীতিমালা, বাজেটে তাদের জন্য অর্থায়নসহ উদ্যোক্তাদের সার্বিক উন্নয়নে যথাযথো পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আর তাতে করেই দেশের তরুণ সমাজ চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ায় উৎসাহিত হবে। দেশে উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান বৃদ্ধি পাবে। বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)