চরের জমিতে চাষাবাদ: দাঁড়ানোর আশা বানভাসিদের
, ২১শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ৩০শে মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর
তিস্তার বিভিন্ন চরে আলু, রসুন, মরিচ, পেঁয়াজ, ভুট্টা, শশা ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসলের পরিচর্যা চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
নদীর বুকে জেগে ওঠা বিশাল চর ঘিরে কৃষকের ব্যস্ততা শুধু রংপুরেই নয়, এই মৌসুমে ব্যস্ততা বেড়েছে চরকেন্দ্রিক নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতেও। তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, করতোয়া, যমুনেশ্বরীসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত উত্তরের চরগুলো এখন ‘হিডেন ডায়মন্ড’। প্রতি বছর এসব চরে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ফসল।
শুধু ফসল উৎপাদনেই থেমে নেই চরাঞ্চলের কৃষকরা। বছরে ২৫ লাখ গবাদিপশুর যোগানও দিচ্ছেন তারা।
তিস্তায় ভিটেমাটি হারানো শত শত মানুষ এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে। রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামসহ পুরো উত্তর জনপদে কৃষি বিপ্লবের অন্যতম হাতিয়ার নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের আবাদি ফসল।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নদীবেষ্টিত চর ২ হাজার ৯৪৫ হেক্টর আর জলঢাকায় ৩২৮ হেক্টর। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী ও শোলমারী ইউনিয়নে তিস্তার ছোট-বড় প্রায় ২৩টি চর আছে। এসব চরের বেশির ভাগ বালুর বুকে সুখের দোল খাচ্ছে সবুজের ফলন।
একই চিত্র লালমনিরহাটে। এই জেলার সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার বিস্তীর্ণ চরে চাষিরা ফলাচ্ছেন সোনার ফসল। এখানকার চরাঞ্চলের সবজির প্রাচুর্য দেখে যে কারও চোখ জুড়াবে। ফসলের বাম্পার ফলনের সফলতায় হাসি ফুটেছে কৃষকের ঘরে ঘরে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, তিস্তার বুকে এ বছর চরের পরিমাণ ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর। যার মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ফসলের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ হেক্টর বেশি। এই মৌসুমে তিস্তার চরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফসল চাষাবাদ হবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, রংপুর অঞ্চলে প্রায় এক লাখ হেক্টর চরে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসল। এরই মধ্যে চর অঞ্চলের কৃষকদের সহযোগিতায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে উৎপাদন বাড়বে দ্বিগুণ। প্রতি বছর উত্তরের চরগুলোতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শুধু কৃষিতেই নয়, গবাদি পশুর চাহিদারও বড় একটি জোগান দিয়ে থাকেন চরের বাসিন্দারা। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য বলছে, প্রতি বছর উত্তরাঞ্চলের চরগুলোতে প্রায় ২৫ লাখ গবাদি পশু লালন-পালন হয়ে থাকে। যার বাজার মূল্য এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে আকস্মিক বন্যা আর নদী ভাঙনে এসব গবাদি পশু নিয়ে বিপদে পড়তে হয় চরবাসীদের।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে শীত মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ সীমিত
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদ- বাড়িয়ে মৃত্যুদ- চেয়ে আপিল
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আইজিপির বিরুদ্ধে রিট আবেদন খারিজ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নৌবাহিনীতে অনারারী কমিশন প্রদান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেড় বছরে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘বাংলার মাটিতে আ’লীগের রাজনীতি আর চলবে না’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনার-জেলা প্রশাসকদের ইসির চিঠি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সন্তোষজনক’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে প্রস্তুতি নিন’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












