সম্পাদকীয় (১)
গরু পালনে দ্বাদশ হলেও সুফল থেকে বঞ্চিত দেশ। সরকারের উচিত গোশত আমদানি নিষিদ্ধের পাশাপাশি গরু খামারীদের সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা করে এ খাতের সুফল দিয়ে দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করা।
, ১৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সাম্প্রতিক সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে দেশে গরু পালনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে সম্ভাবনাকর বিষয় হলো, বাংলাদেশে গরুর ঘনত্ব প্রতি বর্গমাইলে ৪৩৬টি, যা এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয়। ভারতের তুলনায় প্রায় পৌনে তিন গুণ বেশি। জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ হলেও এ খাতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের পরিমাণ ২০ শতাংশ। ইতোমধ্যে দেশে গবেষণায় গরুর অনেক উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। গরু মোটাতাজা করে লাভবান হচ্ছেন গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র খামারিরা। গরু লালন-পালনে বিকশিত হচ্ছে দেশের দুগ্ধশিল্পও। দেশে ডেইরি শিল্প একটি উদীয়মান শিল্প। গরু লালন-পালনের মধ্য দিয়ে দেশের তরল দুধের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। সবমিলিয়ে গরু পালনে বিশ্বে রোলমডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তবে অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকার পরও গুটিকয়েক সমস্যার কারণে এ খাতটি সমৃদ্ধশালী হচ্ছেনা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিদেশ থেকে গোশত আমদানি। বতর্মানে দেশ গোশতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ী নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য বিদেশ থেকে গোশত আমদানি করে দেশের বাজার নষ্ট করছে। গোশত যত বেশি আমদানি হবে আমাদের দেশের গো-খামারিরা তত ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। দেশীয় খামারীরা যে দামে গোশত সরবরাহ করে, আমদানিকারকেরা তার চেয়ে অনেক কম দামে ভারত, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা হাড্ডিবিহীন গোশত সরবরাহ করছে বলে প্রচারণা চালচ্ছে। অথচ বিদেশ থেকে আমদানীকৃত গোশত শুধু পচাই নয় মরা গরুসহ হারাম কুকুরের গোশতও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব পচা গান্ধা গোশত আমদানী করার জন্য দেশীয় খামারিদের গোশত দিতে তাদের অবস্থা কাহিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। খামারিরা গরু পালন থেকে সরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি পবিত্র কুরবানির সময় দেখা যায় দেশে চাহিদার বেশি গরু থাকলেও শেষ সময়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় রোগাটে গরু বাংলাদেশের বাজারে ঢুকছে। এতে করে সারাবছরের পরিশ্রম বৃথা হয়ে যায় এদেশীয় গো-খামারীদের। কারণ তখন বাজারে দেশীয় গরুর ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হয় খামারীরা। পশুখাদ্যের অত্যধিক উচ্চমূল্য, বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষির আওতায় না এনে বাণিজ্যিকীকরণসহ নানা সমস্যার কারণে দেশের দুগ্ধ খামার শিল্প পিছিয়ে পড়ছে। এসব সমস্যা ছাড়াও উদ্যোক্তারা পর্যাপ্ত ঋণ সঙ্কটে ভুগছেন। আবার ঋণ নিলেও সুদবিহীন ঋণ পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রায় সব উৎপাদনশীল খাতগুলোই বর্তমানে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে। কিন্তু শুধুমাত্র উপযুক্ত নীতিমালা ও গুটিকয়েক সমস্যা-সিন্ডিকেট অপতৎপরতার কারণে এসব খাতের উপযুক্ত সুফল থেকে দেশের মানুষ বরাবরের মতোই অন্ধকারে থেকে যায়। আর দেশের গো-খাতটিও এই সমস্যায় পতিত। তবে বর্তমান সম্ভাবনা অনুযায়ী সরকার যদি এখনও সঠিকভাবে দেশের প্রাণীসম্পদ খাতে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তাহলে দেশের রেমিটেন্স খাতেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে পারবে গরু পালন খাত। এজন্য সরকারকে খামারিদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করতে ঋণ ব্যবস্থাকে সহজ করতে হবে, সুদবিহীন ঋণ বিতরণ করতে হবে। গরু পালনে খামারিদের খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কম সময়ে বা কম খাবারে গরু উৎপাদনক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম আরো বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। পাশাপাশি তারা গরু মোটাতাজা করতে পাম ট্যাবলেট ছাড়াও ইউরিয়া সার খাওয়ানো পন্থাগুলোকে কঠোর হস্তে বন্ধ করতে হবে। বিদেশ থেকে সবরকম গোশত আমদানি চিরতরে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া ছোট খামারিদের নীতিসহায়তার মাধ্যমে সুরক্ষা করতে পারলে দেশেই সারা বছরের চাহিদা মেটানোর জন্য পশু উৎপাদন করা সক্ষমতা অটুট থাকবে। এতে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)