ফতওয়া
খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৮)
গবেষণা কেন্দ্র: মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ
, ০২ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) ফতওয়া বিভাগ
خواجہ حریق المحبت فرید الحق و الدین مسعود گنجشکر اجودھنی رحمۃ اللہ علیہ تحریر فرماتے ھیں کہ جب اس بندہء حقیر خادم درویشاں کو دولت قدم بوسی حضرت قطب الاسلام رحمۃ اللہ علیہ کی حاصل ھوئی اپنے اسیوقت کلاہ چھار ترکی میرے سرپر رکھی-(فوائد السالکین- مجلس اول - صفہ
অর্থ: খাজা, হারীকুল মুহাব্বাত, ফরীদুল হক্ব ওয়াদ্দীন, হযরত ফরীদুদ্দীন গঞ্জে শোকর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন, যখন এই অধম বান্দা ও দরবেশদের খাদেম, হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কদমবুছী করার সৌভাগ্য লাভ করে, তখন তিনি আমাকে “চার টুকরা বিশিষ্ট টুপি পরিয়ে দেন।” (ফাওয়ায়েদুস সালেকীন- ১ম মজলিস, পৃষ্ঠা ১০৬)
اسکے بعد ارشاد فرمایا کہ خواجہ عبد اللہ سھیل تستری رحمۃ اللہ علیہ نے درباب "کلاہ چھار ترکی تحریر کیا ھے کہ اس کلاہ میں جو چار خانہ ھیں انسے یہ مراد- خانئے اول انوار واسرار ھے خانئے دوم - محبت و توکل ھے-خانئے سوم- عشق و اشتیاق ھے- خانئے چھارم- رضا و موافقت ھے- اسکے بعد ارشاد فرمایا کہ اے درویش کلاہ چھار ترکی "پھننے و الے کو لازم ھے کہ رعایت انسب امور کی کرے-(راحت المحبین- مجلس چھارم- صفہ
অর্থ: হযরত খাজা আব্দুল্লাহ্ সুহাইল তস্তরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপির ব্যাপারে লিখেন যে, “চার টুকরা বিশিষ্ট টুপির” মধ্যে যে চারটি টুকরা রয়েছে, তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- প্রথম টুকরা নূর ও আসরার, দ্বিতীয় টুকরা- মুহব্বত ও তাওয়াক্কুল। তৃতীয় টুকরা- ইশ্ক্ব ও ইশ্তিয়াক্ব। চতুর্থ টুকরা- রেজা ও মোওয়াফেক্বত। তারপর বলেন, হে দরবেশগণ চার “টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি” পরিধানকারীদের জন্য উক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। (রাহাতুল মুহিব্বীন- চতুর্থ মজলিস, পৃষ্ঠা ৩২০)
حضرت خواجہ قطب الاقطاب رحمۃ اللہ علیہ تحریر فرماتے ھیں کہ تاریخ مذکورہ بالاکو شھر بغداد کی مسجد ابو اللیث سمرقندی میں حاضر ھو کر شرف بیعت حضرت خوا جہ بزرگ سے مشرف ھوا- اپنے از روئے نوازش و کرم مجھ فقیر کو اپنے زمرہ حلقہ بگوشاں میں قبول فرما کر کلاہ چھار ترکی "عنایت فرمائی" دلیل العارفین مجلس اول صفی
অর্থ: হযরত খাজা কুতুবুল আক্বতাব বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন, উল্লিখিত তারিখে বাগদাদ শহরের আবুল লাইছের সমরকন্দী মসজিদে হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়। তিনি দয়া করে আমাকে উনার দলভুক্ত করেন এবং “চার টুকরা বিশিষ্ট টুপি প্রদান করেন।” (দলীলুল আরেফীন- প্রথম মজলিস, পৃষ্ঠা ৪৭)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, “চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি” পরিধান করা সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, ও সুন্নতে আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম। অর্থাৎ “চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপিই হচ্ছে, খাছ সুন্নতী টুপি।
কারো কারো বক্তব্য এই যে, টুপি একটি সাধারণ আমল, এই সাধারণ বিষয় নিয়ে এত বাড়াবাড়ী ঠিক নয়। কারণ টুপি ছাড়াও নামায হয়। অথচ টুপি সাধারণ আমল নয়। টুপি হচ্ছে দায়েমী সুন্নত। আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা বা দায়েমীভাবে টুপি মাথায় দিতেন। টুপি ছাড়া নামায হয়ে যায়, এটা হলো মাজুরের মাসয়ালা। অর্থাৎ কারো নিকট টুপি না থাকলে মাজুর হিসেবে টুপি ছাড়াও নামায পড়া যায়। কিন্তু টুপি থাকা সত্ত্বেও টুপি ছাড়া নামায পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী।
তাছাড়া টুপি সম্পর্কে ফতওয়া দেয়া আমাদের মূল মাকছুদ নয়। আমাদের মূল মাকছুদ হচ্ছে- মুসলমানদের আক্বীদা ও আমলকে বিশুদ্ধ করা। কারণ অনেকে বলে থাকে যে- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব ধরণের টুপি পরিধান করেছেন।” অথচ তা হবে কাট্টা কুফরী। কারণ এতে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মিথ্যারোপ করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা বর্তমানে বাজারে অনেক টুপিই প্রচলিত রয়েছে, যেমন- কিস্তি টুপি, জালি টুপি বা নেট টুপি ইত্যাদি। যারা বলে সব ধরণের টুপি পরিধান করাই সুন্নত, তারা কি প্রমাণ করতে পারবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ ধরণের টুপি পরিধান করেছেন?
আবার অনেকে খাছ সুন্নতী টুপি কোনটি, তা না জানার কারণে বেদ্বীন-বদদ্বীন বা বিধর্মীদের টুপি পরিধান করছে। যেমন- বুরনুস, বা উঁচু টুপি ও কিস্তি বা লম্বা টুপি, অথচ বিধর্মীদের সাথে যেকোন ব্যাপারে সাদৃশ্য রাখা হারাম।
তাহলে দেখা গেল- প্রকাশিত খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়ার ফলে, সাধারণ মুসলমানরা যেরূপ কুফরী থেকে বাচঁতে পারবে তদ্রুপ বেঁচে থাকতে পারবে বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ থেকে। সাথে সাথে চার টুকরা বিশিষ্ট গোল সাদা সুতি কাপড়ের খাছ সুন্নতী টুপির খাছ সুন্নত পালন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৯)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৮)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৭)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৬)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৩)
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৯)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৮)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৪)
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দাড়ি ও গোঁফের আহকাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩)
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)