সম্পাদকীয় (১)
কোটা আন্দোলনে নিহতদের যথাযথ বিচারের জন্য মৃতদের সঠিক সংখ্যা নিরুপণ প্রক্রিয়া এই মুহুর্তে জরুরী
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীদের তথ্যানুযায়ী, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করেছিল।
তথ্য অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই- এই চার দিনে নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের হতাহত কয়েক হাজার ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছিল রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। তাদের অধিকাংশই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। ১৮ ও ১৯ জুলাই আসা হতাহতদের বড় অংশই ছিলেন ছররা গুলিবিদ্ধ; ২০ ও ২১ জুলাই আসা আহত বেশির ভাগই ছিলেন বুলেটবিদ্ধ।
আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে দেড়শ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। গত ১৬ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫ শতাধিক মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এর মধ্যে আবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরেও মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ২১১ জন, আবার কোনো গণমাধ্যম দাবি করছে ২৬৬ জন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কিশোর ও আগে এবং পরে নিহতের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারী, এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও এই কথা বলা হয়েছে।
এর একটি কারণ হলো আহতদের অনেকেই এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে মৃতদের সবার তথ্য হাসপাতালগুলোর কাছে নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কত? এ বিষয়ে হাসপাতালগুলোই বা কী বলছে?
হাসপাতালের কর্মকর্তাদের অনেকেই জানিয়েছেন যে, আহতদের চাপ সামলাতে গিয়ে নিহতদের সবার তথ্য তারা রাখতে পারেননি।
যারা আহত অবস্থায় এসেছেন, তাদেরকে বাঁচানোই তখন তাদের মূল ফোকাস ছিল। ফলে সবার তথ্য রাখা সম্ভব হয়নি’।
বনশ্রী, আফতাবনগর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরার আরও অন্তত সাতটি হাসপাতাল থেকে একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।
একইভাবে যাত্রাবাড়ী এলাকার সালমান হাসপাতাল, প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল এবং ইসলামিয়া হাসপাতালে মৃতদের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।
নাম নিবন্ধন করার আগেই স্বজনদের অনেকে মরদেহ নিয়ে চলে গেছেন বলেও জানাচ্ছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
মৃত অবস্থায় যেসব মরদেহ এসেছিল, সেগুলোকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলো।
উল্লিখিত হাসপাতালগুলোর বাইরেও ঢাকায় আরও অনেক হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোতে হতাহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সেগুলোর সবকটিতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের সংখ্যার বিষয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্যের সঙ্গে বেসরকারি তথ্যের বড় ব্যবধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে আন্দোলনকে ঘিরে গত দুই সপ্তাহের সহিংসতায় ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন, সেটি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সরকারের ঘোষণা রয়েছে, সব হত্যার বিচার হবে। জাতিসঙ্ঘের অধীনে তদন্তের কথাও উঠেছে। তবে যেভাবেই বিচার হোক বা যারাই বিচার করুন। প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে নিহতের সঠিক সংখ্যা আগে সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে।
তবে এ প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত হবে ততই তা অসম্পূর্ণ, অযথার্থ এবং ত্রুটিযুক্ত হতে থাকবে। তাই বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারী, বেসরকারী পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ও আগ্রহী সবাইকে এক্ষনি এগিয়ে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শিল্প-কলকারখানায় এক্ষুনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২ ভাগ এলাকা কংক্রিটে ঢাকা- তপ্তনগরী ‘ঢাকার’ উত্তাপ কমাতে হলে ঢাকার সুযোগ-সুবিধা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। যথাযথ বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই পূরণ হবে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে রফতানির সম্ভাবনাও সৌর-সম্ভাবনাকে বিকশিত করলে বাংলাদেশ হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরয।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)