কৃষির টেকসই উন্নয়নে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যাপক ও সুলভ করতে হবে।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কোনো সমস্যা যুক্ত করা যাবে না। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
, ১৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
একটা সময় ছিল যখন দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে বর্তমানে সে অবস্থা নেই। এখন দেশের মাত্র শতকরা ৪৮ ভাগ লোক কৃষিকাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাকি ৫২ ভাগ লোক শিল্প ও সেবা খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা। অন্যদিকে একজন কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি বা রংমিস্ত্রি দৈনিক মজুরি পান ৫০০ টাকা। একজন রিকশা-ভ্যানচালকও দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা উপার্জন করেন। তাহলে কৃষির মতো এত পরিশ্রমের কাজ কেন করতে যাবে মানুষ?
বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় এক-চতুর্থাংশই বর্তমানে কৃষি সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কৃষি সেক্টরের মধ্যে শুধুমাত্র শস্য ক্ষেত্রে এর অবদান কৃষি জিডিপির প্রায় ৬০ শতাংশ। কৃষি প্রযুক্তি কৃষি সেক্টরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বীজ, সার ও কীটনাশক, পানি ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি যন্ত্রপাতিই মূলত দেশে ব্যবহৃত কৃষি প্রযুক্তি। এর মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি তথা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। বাংলাদেশে প্রায় ৬২ শতাংশ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন সেক্টরে, যার মধ্যে শস্য সেক্টরেই প্রায় ৫৫ শতাংশ।
ফসল উৎপাদনের ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কর্তনপূর্ব, কর্তনকালীন ও কর্তনোত্তর সময়ে ফসলের ক্ষতি হয়। বাংলাদেশে দানাশস্যে ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতির পরিমাণ মোট উৎপাদনের ১২-১৫ ভাগ, যা ফল ও শাকসবজির ক্ষেত্রে প্রায় ২৫-৪০ ভাগ। এ ছাড়া অন্য আর একটি গবেষণায় জানা যায় যে, বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭ ভাগ গম, ১২.০৫ ভাগ তেল বীজ, ২৫ ভাগ শাকসবজি এবং আলু, ১২.০৫ ভাগ ডাল ফসল এবং ১০.০৫ ভাগ মরিচ ফসলে কর্তনোত্তর ক্ষতি হয় শুধু দক্ষ যন্ত্রপাতি ব্যবহারের না করার ফলে। বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে যেখানে ৩২.৫ মিলিয়ন মে. টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল, সেখানে ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৪-৫ মিলিয়ন মে. টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের খাদ্য সরবরাহ ও জোগানের ২.২ মিলিয়ন মে. টন ঘাটতির চেয়ে বেশি। কৃষি প্রকৌশলীগণ মনে করেন যে, খাদ্য সরবরাহ ও জোগানের মধ্যে যে ঘাটতি রয়েছে তা সঠিক ফসল কর্তনোত্তর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কমানো সম্ভব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষি প্রকৌশলীদের মতে, ধান ফসল যদি যান্ত্রিক উপায়ে কর্তন বা রিপার দ্বারা কর্তন করা সম্ভব হয়, তবে কৃষকদের প্রায় ৮৪৫০০০ মে. টন ধান সাশ্রয় হবে। এক গবেষণায় জানা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার খাদ্য শস্য নষ্ট হয় শুধুমাত্র পরিকল্পিতভাবে ফসল কর্তন, ফসল কর্তনোত্তর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে। কৃষি প্রকৌশলীদের গবেষণায় আরো জানা যায় যে, বিগত দশকে দেশে ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২,৫০,০০০ কোটি টাকা।
কৃষি সেক্টরের প্রতি স্তরে রোপণ থেকে শুরু করে শস্য ঘরে উঠানো পর্যন্ত কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিপুল সম্ভাবনা আজ দেখা দিয়েছে। কিন্তু এ সব কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন প্রয়োজন সরকারি অবকাঠামো, কারিগরি জনবল ও সরকারি বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগ।
প্রেক্ষাপট বলছে দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা এবং প্রযুক্তিগত স্বল্প জ্ঞানের কারনে প্রান্তিক কৃষকদের উচ্চ মূল্যের ও জ্ঞান ভিত্তিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সামর্থ্য ও আগ্রহ নেই। তারা বেসরকারি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে একর প্রতি হারে এই যন্ত্রপাতি ভাড়া নিবে। সেক্ষেত্রে প্রান্তিক কৃষকদের ভর্তুকির সুবিধা নিশ্চিতকরণে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহকৃত যন্ত্রের একর প্রতি ভাড়া নির্ধারণ প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত কোনো উপজেলায় উদ্যোক্তা পর্যায়ে উচ্চ মূল্যের কৃষিযন্ত্র ক্রয়কারী না পেলে ওই উপজেলায় যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী কৃষকদের যন্ত্র ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিতকরণে উপজেলাভিত্তিক মাটির গঠন, প্রকৃতি, ফসল উৎপাদনে কৃষক সংস্কৃতি ও যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে যন্ত্রের চাহিদা নিরূপণ এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন।
তৃতীয়ত কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রেতা ভর্তুকি মূল্যে যন্ত্র ক্রয়ের পরে যন্ত্রের দ্বারা প্রতি বছর প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন নিশ্চিতকরণে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৃষককে ফসল উৎপাদনে বাধ্য করতে যৌথ জমি ব্যবহারকারী কৃষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কৃষকের জমি ব্যবহারের বিধিমালা তৈরি প্রয়োজন।
চতুর্থত কিছু মুনফালোভী অসৎ ব্যবসায়ী ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করে বর্তমানে বাজার মূল্যে যন্ত্রটি অন্যত্র বিক্রি করে দিতে পারে যা ভর্তুকির উদ্দেশ্য ব্যাহত করবে। প্রতিটি যন্ত্র ক্রেতাকে তার যন্ত্রটি প্রত্যাশিত জীবনকাল অবধি যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই দুর্নীতি রোধ, সঠিক যন্ত্র ক্রেতা নির্বাচন, নির্ধারিত ভাড়ায় যন্ত্র সরবরাহ ও যন্ত্রটি প্রত্যাশিত জীবনকাল অবধি ব্যবহার নিশ্চিতকরণে যন্ত্র ক্রেতা আইন তৈরি এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন।
পাশাপাশি যেহেতু যন্ত্রগুলো বছরের নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত অন্য সময় অব্যবহৃত অবস্থায় থাকবে তাই যন্ত্র যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ নিশ্চতকরণ, মাঠে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, দক্ষ যন্ত্রচালক তৈরিকরণ, যন্ত্র ব্যবহারের উপযোগী করে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যে কোন যান্ত্রিক সমস্যায় বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও খুচরা যন্ত্রাংশের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, কৃষি যন্ত্র আমদানি ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি মূল্যে পূর্বের সরবরাহকৃত যন্ত্রগুলোর যথাযথ ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি থাকলেও তার সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজন সার্বক্ষণিক তদারকি।
সেচ ব্যবস্থাপনা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে একসূত্রে বেঁধে কৃষি প্রকৌশল অধিদপ্তর গঠন এবং সকল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা ও আইন তৈরির মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে মাঠ পর্যায়ে কাজ বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তাই টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তথা কৃষির প্রকৌশল বিদ্যা সম্প্রসারনের লক্ষ্যে সরকারের সু-দৃষ্টি ও দ্রুততম পদক্ষেপ গ্রহণ জরূরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)