সম্পাদকীয় (১)
কৃষক যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সরকারী ক্রেতা বা মিলার সিন্ডিকেটের কব্জায় বঞ্চিত না হন এ আর্তনাদ আর কতকাল
, ২১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ধান চাষ ও ধান ফলনে খরচের যেসব পরিসংখ্যান পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট যে ধান চাষের খরচ এবং ধান বিক্রির প্রাপ্তিতে বিরাট বৈষম্য, বৈপরীত্য ও স্ববিরোধিতা পরস্ফুটি। তদুপরি দেখা যচ্ছে, প্রতিবছর কৃষি মজুরি ও সেচ খরচ বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। স্বভাবতই কৃষক বিপাকে। এ সমস্যা আরো বেশি বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে। কারণ যে কৃষক নিজের জমি চাষ করে সে তুলনায় যে অন্যের জমি বর্গাভিত্তিতে চাষ করে তার খরচ অনেক বেশি জমির মালিককে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে হয় বলে।
এ সমস্যা দূর করার পথে অনেক বাধা। প্রথমত, ধানের দাম নির্ধারণ। সরকার ধানের যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, তা কখনো যদি কৃষকের হিসাবে গ্রহণযোগ্যও হয়, তাহলেও বেচাকেনার প্রক্রিয়ায় ও লেনদেনে অশিক্ষিত-নিরক্ষর কৃষককে প্রায়ই লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
বিশেষ করে যখন তাদের ধান পৌঁছে দিতে হয় সরকারি গুদামে। সেখানে অনেক অদৃশ্য হাতের কারসাজি। ধান বিক্রেতা কৃষক সেখানে অসহায়। লেনদেনে ঘাটতি বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই।
গত সপ্তাহে ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে। সাত দিনের ব্যবধানে সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। মিলাররা মণপ্রতি কমিয়ে দিয়েছে ১৫০ টাকা। বড় বড় মিলারের দালালরাই অধিকাংশ ধান কিনছে মোকামে বসে। মিলারদের দালাল সিন্ডিকেট ধান কেনায় কৃষকরা দাম কম পাচ্ছেন।
কৃষক সারা বছর হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ফসল উৎপাদন করেন। কিন্তু সেই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম তারা পান না। মাঝখান দিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। আর এক্ষেত্রে শুধু যে কৃষকরাই ঠকে তা না। কৃষিপণ্যের দাম কমলে ভোক্তাদের যে সুবিধা ভোগ করার কথা সেটা তারা ভোগ করেন না। ভোক্তাদের চড়া মূল্যে পণ্য কিনতে হয়।
সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা তার বক্তব্যে বারবার করে বলেছেন। উদ্যোক্তার কথা যদি বলতেই হয় তাহলে কৃষকদের চেয়ে বড় উদ্যোক্তা আর কারা আছেন? কিন্তু উৎপাদিত ফসলের দাম না পেয়ে এনজিওর কিস্তির টাকা শোধ না করতে পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন তাদের কেউ কেউ। আবার সেই ফসল দিয়েই কয়েক স্তরের মধ্যস্বত্বভোগী ঠিকই বিপুল মুনাফা গড়ছেন। এখানে বড় প্রশ্নটা হচ্ছে, কৃষক কিংবা উদ্যোক্তাদের জন্য নীতি ও সহায়ক পরিবেশ কোথায়?
সরকার যেমন ওষুধের মূল্য নির্ধারণে ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চালু করেছে, তেমনি কৃষিপণ্যের জন্য অধিদপ্তর খুলতে পারে, যেখানে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে শুধু ধান নয়, সব কৃষিপণ্যেরই বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত হবে।
কিন্তু মূল্য নির্ধারিত হলেই চলবে না, কৃষক যাতে সেই নির্ধারিত মূল্য পায়, তাতে কোনো বাধাবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় অর্থাৎ সৃষ্টি করা না হয় তেমন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার বিশাল নথিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি দখলদার ১ লাখ ৬০ হাজার নাম এসেছে শুধু নাম সর্বস্ব না করে বনভূমি উদ্ধারের বাস্তব নজীর চাই
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফুটপাতের প্রান্তিক হকারদের কাছ থেকে অসৎ ও লুটেরা মহল প্রতি মাসে চাঁদা আদায় করছে শত শত কোটি টাকা; অথচ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ অর্থ দিয়ে বারবার উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন সম্ভব; অন্যদিকে এই অর্থ যোগ হতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে। সরকারের আশু নজর কাম্য।
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)