সম্পাদকীয় (২)
কৃষকদেরকে ঋণ দেয়া হয় সবচেয়ে কম। পৃথিবীতে বাংলাদেশেই কৃষকদের ধান উৎপাদন খরচ সবচেয়ে বেশি। আবার সরকারের ক্রয় সীমাও কম। কৃষকদের বাঁচাতে সমূহ ব্যবস্থা সত্ত্বর গ্রহণ করতে হবে।
, ০৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সরকারের কৃষি ব্যাংক থেকে আসা ঋণের পরিমাণ ৬ শতাংশের মতো। এই ঋণের সবচেয়ে বেশি অংশ পায় বড় চাষিরা, বর্গাচাষি অর্থাৎ অন্যের জমি ইজারা নিয়ে চাষ করে এমন কৃষকেরা এই ঋণ পায় না। ফলে তাদের এনজিওসহ অন্য উৎসের ঋণের উপর নির্ভর করতে হয়।
উচ্চ সুদে ঋণের ফলে দেশে ধানের উৎপাদন খরচও প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অনেক বেশি। ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশটিতে চলতি বছর এক কেজি ধানের উৎপাদন খরচ বাংলাদেশি টাকায় ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। সরকার কিনছে ২০ টাকা ৮০ পয়সায়। প্রধান ধান উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামেও প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে খরচ ২০ টাকার কম। আর বাংলাদেশে প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ২৫ টাকা। সরকার তা কিনছে ২৬ টাকায়।
একজন কৃষক ফসল উৎপাদন বাবদ লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচটায় তুলতে পারছে না। ১ লিটার পানির দাম ২৫ টাকা অথচ ১ কেজি ধানের দাম মাত্র ১২ টাকা। কৃষি উপদান যেমন: উন্নত বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধ, কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ ব্যবস্থা এবং শ্রমিকের মজুরি যেহারে বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় কৃষিপণ্য বিশেষত ধানের দাম নিতান্তই কৃষকদের সঙ্গে ঠাট্টার সামিল। এক কেজি গরুর গোশত কিনতে কৃষককে এক মণ অর্থাৎ ৪০ কেজি ধান বিক্রি করতে হয়।
কৃষি প্রধান এই দেশে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকের যাপিত জীবনে সবকিছুই ধানকে ঘিরে। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার মানুষ উৎসবে ‘বোনাস’ ‘বাড়তি অর্থ’ ইত্যাদি পেলেও কৃষকের ধানই সব। বছরের খোরাক, মেয়ের বিয়ে, ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, চিকিৎসা, সামাজিকতা রক্ষা সবকিছু নির্ভর করে ধানের উপর। রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে স্বপ্ন দেখেন আগামীর। যে দেশের মানুষের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল সেই কৃষকদের স্বার্থ দেখার যেন কেউ নেই। সরকার, এনজিও, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, মানুষ কেউ কৃষকের স্বার্থের কথা বলছে না, কোনো কিছু করছে না।
অথচ দেশের কয়েক লাখ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্য দফায় দফায় বেতন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন বোনাস ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে বাহবা নেয়া হচ্ছে; ব্যবসায়ীদের প্রণোদনাসহ নানান সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। অথচ কৃষকদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। তারপরও কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তবে কি কৃষকরা দেশের নাগরিক নয়? যে কৃষকের কঠোর পরিশ্রমে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তাদের দিকে তাকানোর কী কেউ নেই?
বাংলাদেশের কৃষি সংক্রান্ত ডায়েরীর পাতা খুললে দেখা যায় উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পেলে কৃষকরা সে পণ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে অন্য পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। উদ্দেশ্য উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য। বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। ’৯০ দশকে আদমজীসহ কয়েকটি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পাটের চাষ ও উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। বিদেশ থেকে চিনি রফতানী বৃদ্ধি এবং দেশের চিনিকল থেকে উৎপাদিত চিনি গোডাউনে রাখায় আখ বিক্রিতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। উৎপাদিত আখের মূল্য না পাওয়ায় কৃষক আখের আবাদ কমিয়ে দিয়েছে। গমের আবাদও এখন অনেক কমে গেছে। কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে ধানের চাষও কমিয়ে দিতে বাধ্য হলে ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দেশ’ শ্লোগান কী কোনো কাজ দেবে? নাকি কৃষকদের ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করতেই এমন পরিস্থিতি!
কৃষি ও কৃষকদের প্রতি এই অবহেলা ও উপেক্ষার পরিণাম কী হতে পারে, তা অনুমান করা অসাধ্য নয়। কৃষি সবসময়ই দেশের শীর্ষস্থানীয় খাত। খাদ্যসংস্থান, কর্মসংস্থান, জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান ইত্যাদি বিবেচনায় কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কর্তৃপক্ষের প্রশ্নবিদ্ধ ও অপরিণামদর্শী নীতি ব্যবস্থার কারণে এ খাতে বিপর্যয় দেখা দিলে তার খেসারত জাতি ও জনগণকেই দিতে হবে। আমরা কৃষক এবং কৃষকবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপই দেখতে চাই।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহা-মহিমান্বিত ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই রজবুল হারাম শরীফ আজ। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্য ফরজ।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নারিকেল দ্বীপ নয়; শব্দ দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনজট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ! রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শিশু কিশোরদের মাঝে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ভয়াবহ এবং মারাত্মক ঝুকিপূর্ণভাবে বাড়ছে শিশু-কিশোরদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে জরুরীভাবে নজর দেয়া উচিত ইনশাআল্লাহ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত্নশীল না হলে মুসলমানরা বিপন্ন বলে আওয়াজ উঠবে। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করে কোনো মঞ্চ বা রাষ্ট্রযন্ত্র টিকে থাকতে পারবে না।
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজির দাম না পাওয়ায় হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রতি অন্তবর্তী সরকারের দরদ ও দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে না সবজি রপ্তানী বৃদ্ধি, সবজির বহুমুখী ব্যবহার এবং সবজি সংরক্ষণ বহুগুণ করে সবজি চাষীদের সমৃদ্ধশালী করার অবকাশ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল চাকুরী পাওয়ার আন্দোলন কিন্তু এখন চাকুরী পাওয়ার হার আরো নি¤œগামী। বেকারত্বে আরো উর্ধ্বগামী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই মাহে রজবুল হারাম শরীফ আজ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আহলান সাহলান মহিমান্বিত ৬ই রজবুল হারাম শরীফ! আজ কুতুবুল মাশায়িখ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজায়ে খাজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অতীতের সব সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারও চালের দাম বৃদ্ধিতে নড়েচড়ে বসছে না। কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না একমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র প্রজ্ঞাতেই চালের দাম সর্বোচ্চ সস্তা হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)