কুরিয়ার সার্ভিসে নজরদারি নেই। সেবার নামে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে কুরিয়ার সার্ভিসে। মাদক পাচার ও অবৈধ কর্মকা-ে কুরিয়ার সার্ভিসের যথেচ্ছা ব্যবহার।
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
ডাকবিভাগের ধীরগতি ও ভোগান্তির ফলে মানুষ নির্ভরশীল হচ্ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চিঠি ও জিনিসপত্রের পাশাপাশি টাকাও পাঠানো হচ্ছে এই সেবা খাতের মাধ্যমে। প্রায় তিন যুগ আগে চালু হওয়া এ সেবা খাতে কোম্পানির সংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে বিনিয়োগও; কিন্তু নির্ভরশীলতা বাড়ার উল্টোপথে কমতে থাকছে সেবার মান। গ্রাহক ভোগান্তি বেড়েই চলছে কুরিয়ার সার্ভিসে। ডাকবিভাগের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে গ্রাহকদের এ সেবা পেতে। তারপরও থাকছে নানা ঝুঁকি। গুরুত্বপূর্ণ নথি, চিঠি ও মালামাল হারিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে ক্ষতিপূরণ পান না কেউ। অনেকেই অভিযোগ করছেন, ঠিক সময়ে ডাক না পৌঁছানোর।
অপরদিকে, মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ পণ্য বহন চলছে কুরিয়ার সার্ভিসে। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে চলছে এই চোরাকারবারি। দেশি-বিদেশি অনেক কুরিয়ার সার্ভিস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। কিন্তু প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর উপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি না থাকার কারণে চোরাচালানের প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। যার কারণে চোরাকারবারিরা বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিসকেই নিরাপদে নিষিদ্ধ পণ্য বহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
অভিযোগ উঠেছে, কুরিয়ার সার্ভিসের দুর্বল নিয়মনীতির সুযোগে অপরাধীরা তাদের কর্মকা- অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিমালা করা হলেও কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিস হাইকোর্টে রিট আবেদন করায় আদালত বিধিমালাটি স্থগিত করে। এছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসে অবৈধ পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ করতে এবং অবৈধ তৎপরতা দমনের কার্যক্রম জোরদার করতে গঠিত টাস্কফোর্সের সংশ্লিষ্ট টিমের বিশেষ কোনো মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের শীর্ষ চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্যরা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাচালান ব্যবসা করে আসছে। কেউ কেউ নিজেই কুরিয়ার সার্ভিস খুলেছে শুধুমাত্র চোরাচালানের জন্য। আবার অনেক চোরাকারবারিরা কুরিয়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক চোরাচালান করে আসছে। এ চক্রের সদস্যরা রাজনৈতিক নেতা, থানা পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এ চোরাচালান ব্যবসা করছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জমজমাট চোরাচালান ব্যবসা চলছে। সীমান্ত এলাকায় থেকে সবচেয়ে বেশি মাদকদ্রব্য কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় আলাদাভাবে পাচার সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। যশোরের বেনাপোল, দিনাজপুরের হিলি বন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে চলছে চোরাচালান পণ্য আনা-নেয়ার কাজ।
পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি কুরিয়ার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ এখন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নিরাপদ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে সক্রিয় দুটি পাকিস্তানি সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে ইন্টারপোল। বিদেশি পাঁচটি কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ আছে। শুধু বিদেশি নয়, দেশি কুরিয়ার সার্ভিসেও দেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র, মাদক, গুলি, বিস্ফোরকসহ নিষিদ্ধ পণ্য পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পণ্য বিদেশে পাঠানোর পর তা ধরা পড়ায় আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছর লন্ডনের বার্মিংহামে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস অ্যারামেক্সের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ হেরোইন চালান পাঠানোর পর আলোচনায় উঠে আসে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। ওই সময় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক ওই কুরিয়ারের কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কার্যত কুরিয়ারের মাধ্যমে বিদেশে হেরোইন পাচার থেমে নেই। দেশে ও দেশের বাইরে নানা কৌশলে মাদক পাচার করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এক্ষেত্রে দু-চারজন ধরা পড়লেও সংশ্লিষ্ট রাঘব বোয়ালরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ থেকে প্রায়ই ইয়াবার চালান ঢাকায় আসছে। বিশেষ করে যে ব্যক্তি চালান পাঠিয়ে থাকে তার নাম ও ঠিকানা ভুয়া দেয়া হচ্ছে। তার মোবাইল নম্বরও ঠিক দেয়া হয় না। এমনকি যে ব্যক্তি প্রাপক তার নাম ও ঠিকানাও ঠিক থাকছে না। এক্ষেত্রে মূল হোতা প্রেরক ও প্রাপক অধরা থাকছে। শুধু প্রাপকের মোবাইল নম্বর ঠিক দেয়া হলেও একটি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনবার। প্রাপককে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে ‘তার ভুয়া নম্বরটি’।
কিন্তু এখনো এই ব্যবসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়িত হয়নি। নীতিমালা তৈরি হলেও তা কার্যকর হয়নি। এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স থাকলেও এই ব্যবসার জন্য বিশেষ কোন লাইসেন্স ব্যবস্থা নেই। সাধারণ ব্যবসা কিংবা অন্য ব্যবসার ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ২০০ কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলে সেরা গ্রহণকারীরা বিভিন্ন সময় বিড়ম্বনার শিকার হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
মূলতঃ সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)