স্বাস্থ্যকথা:
কাঁধ ব্যথা হলে করণীয়
, ১৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
এ সময় ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়। কাঁধের অস্থিসন্ধিতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এ সময় ব্যায়াম করা যাবে না এবং জোরে কাঁধ নাড়ানো যাবে না, তবে রোগীকে ধরে অল্প ব্যায়াম (যা চিকিৎসক দেখিয়ে দেবেন) করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ফ্রোজেন শোল্ডার ছাড়া আরও অনেক কারণে কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
পেপটিক আলসারের ব্যথাও অনেক সময় বাম কাঁধে চলে আসে। পিত্তথলির প্রদাহের ব্যথা ডান কাঁধে অনুভূত হতে পারে। অনেকের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পরে কাঁধে জড়তা সৃষ্টি হতে পারে।
করণীয়:
প্রথমত চিকিৎসককে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে হবে কী কারণে ব্যথা হচ্ছে। সঠিক কারণ অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কাঁধের তীব্র যন্ত্রণায় বা আঘাতে সাধারণভাবে যা করণীয় তা হলো-
-তাৎক্ষণিকভাবে কাঁধের অস্থিসন্ধিকে বেশ কিছুক্ষণ পূর্ণ বিশ্রাম দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কাঁধ বেশি নাড়াচাড়া করানো যাবে না।
-স্লিং সাপোর্ট বা কলার কাফ স্লিং ব্যবহার করতে হবে।
-আঘাতের পর বা তীব্র যন্ত্রণার ক্ষেত্রে বরফের প্যাক ২০-৩০ মিনিট করে দিনে ৩-৪ বার কাঁধে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
-সতর্কতার সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
-কয়েক দিন পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী থার্মোথেরাপি বা তাপ প্রয়োগের পর নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দোলক ব্যায়ামের কথা উল্লেখযোগ্য। হাতকে শরীর থেকে পাশে ঝুলিয়ে দোলকের মতো ছেড়ে দিয়ে সব দিকে ২০ বার করে চালনা করতে হবে এবং ২০ বার গোল করে ঘোরাতে হবে। হাতে কিছু ওজন নিয়েও এ ব্যায়াম করা যেতে পারে। অন্যান্য ব্যায়ামও পরামর্শ অনুযায়ী করা যেতে পারে।
-চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
-সঠিক রোগ নির্ণয়ের পর বিশেষজ্ঞ দ্বারা অস্থিসন্ধির ভেতর কিংবা আশপাশে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।
-ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, স্ট্রোক প্রভৃতি কারণেও ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধ জমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে, তেমনি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণ নাও থাকতে পারে। ব্যায়ামই এমন সমস্যার মূল চিকিৎসা। ব্যায়াম শিখে নিয়ে বাড়িতেই নিজে ব্যায়ামে করতে হবে নিয়মিত।
-ডা. জর্জিস।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












