এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সর্তকতা একান্ত জরুরী পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা খুবই দরকার।
, ২১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
বান্দরবানের তুমব্রু এবং কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে গত শনিবার থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের পশ্চিম আরাকানের (রাখাইন রাজ্য) আঙ্গামুরুং ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় গত বুধবার বিকেল ৪টার পর থেকে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলির শব্দে এপারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
টেকনাফে বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফট্যানেন্ট কর্নেল আবু জর আল জাহিদ জানিয়েছে, রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনার পর তারা দোভাষীর মাধ্যমে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছিলো।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী থেকেও তাদের জানানো হয়েছে যে তাদের কিছু আউটপোস্টে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্থানীয় কিছু সূত্র বিবিসির বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছে, এই হামলার সাথে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন বা আরএসও জড়িত রয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার থেকে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম এলাকায় অবস্থান করে আরএসও তাদের কর্মকা- চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে মিয়ানমার।
এর আগে এবছরের মে মাসে টেকনাফের একটি আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায়ও আরএসও জড়িত ছিল বলে বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর জের ধরে রাখাইনের সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের তুমব্রু ও টেকনাফের কাছাকাছি মিয়ানমারের হেলিকপ্টার মহড়া দিচ্ছে।
বাংলাদেশ এরইমধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সব চেয়ে বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে ২০১৭ সালে।
ওই বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা শুরু করলে জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই বছরই প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বার লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিলেও মিয়ানমার সরকারের নানা তালবাহানায় আশ্রিতদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সময় যতই গড়াচ্ছে ততই রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে বাড়ছে নানামুখী সংকট। প্রত্যাবাসন অনিশ্চয়তায় চরম হতাশায় রোহিঙ্গারাও। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট আরও প্রকট হয়েছে। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। যা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে নিরাপত্তার কারণে সোমবার সীমান্তের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বন্ধ হওয়া এক স্কুলের শিক্ষক জানান, রবিবার সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সামান্য ভেতরে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার মহড়া চালানোকালে বেশ কয়েকটি বিকট শব্দের বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহীদের ওপর হামলা করার জন্য ওই হেলিকপ্টারের মহড়া। সচরাচর এ রকম যুদ্ধ হেলিকপ্টার সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি এবং আরসা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমার জান্তা সরকারের গুলিবিনিময় হচ্ছে। সীমান্ত ঘেঁষে ওপারে কামানের গোলা নিক্ষেপে এপারের অভ্যন্তরে ছুটে আসায় সীমান্তের আশপাশে বসবাসরত লোকজন ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানায়, মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে মিয়ানমার অংশে তিন দিনে অর্ধশতাধিক মর্টার শেলের প্রকট শব্দে ৪৭ ও ৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলারসংলগ্ন বাংলাদেশ অংশ কেঁপে উঠেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মি তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে জান্তার বাহিনীকে। রাখাইনের রাজধানী শহর সিত্তের চারপাশের ঘাঁটিগুলো থেকে উচ্ছেদ হয়েছে জান্তার সেনারা। এ অবস্থায় মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ৭৫ বছর ধরে দেশটির কোথাও না কোথাও নিজ জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও নির্যাতন শুরুর পর বাংলাদেশে তাদের অনুপ্রবেশ শুরু হয়। এর আগেও কয়েক দফায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে। এমনকি, ২০২২ সালে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী বাংলাদেশের দিকেও মর্টার ও গুলি ছুড়েছে। নিকট অতীতে অপর দেশ থেকে বাংলাদেশে মর্টার ছোড়ার নজির নেই। এ কারণে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে বান্দরবান সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার বাস্তব কারণ আছে।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় সৃষ্ট আতঙ্ক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এটা পরিষ্কার যে, শরণার্থী সংকট যত দীর্ঘায়িত হয়, সমাধানের সম্ভাবনা ততই সংকুচিত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উচিত অত্যন্ত কৌশলী হয়ে আইন ও বাস্তবতার নিরিখে জোরেশোরে লবিং শুরু করা এবং মিয়ানমারকে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে বাধ্য করা। সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় সামরিক জান্তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু এবারের গৃহযুদ্ধের চরিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। প্রথমবারের মতো এ লড়াই অনেকটা জনযুদ্ধের রূপ নিয়েছে। ভূ-রাজনীতির বিষয়াদি ছাড়াও মিয়ানমার ও রাখাইনে কী ঘটে, তাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এমতাবস্থায় সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এনইউজি ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা দরকার বাংলাদেশের নিজের স্বার্থে।
মূলত, এসব চেতনা ও দায়বোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)