সম্পাদকীয় (১)
উন্নয়নের প্রচারণার বিপরীতে অতি উচ্চ ঋণ গ্রহণের তথ্যই বাস্তব সত্যি মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকা- জনগণ নিজেদের ঋণী হিসেবে দেখতে চায় না
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী উৎস থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ বেশ ক’বছর ধরে ক্রমেই বাড়ছে।
বড় অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং নানা উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্য বাংলাদেশ যে ঋণ নিচ্ছে তার পরিমাণ মাত্র সাত বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন যে ঋণ করছে, তার একটি বড় অংশও যাচ্ছে সেই ঋণ পরিশোধের পেছনেই।
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ শত বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করার পর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বারবার এ বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আল ইহসান শরীফের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সুদাসল পরিশোধের চাপও বাড়ছে। বাজেটে বড় একটি বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে ঋণ পরিশোধের জন্য। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে সরকার। যা মোট বাজেটের ১৪.২৪ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, আগামী বছরগুলোতে ঋণ পরিশোধ বাড়তে থাকবে। ২০২৯-৩০ অর্থবছর নাগাদ তা দাঁড়াবে ৫১৫ কোটি ডলারে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সাল শেষে এটি জিডিপির ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। এক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে ঋণ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ঋণের বিপরীতে যথাযথভাবে রিটার্ন নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জিডিপি দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যায় না। ঋণ শোধ করতে টাকা দরকার। বিদেশি ঋণ হলে ডলারও লাগে। ফলে দেখতে হবে রাজস্ব আয়ের অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতি কী। তিনি বলেন, জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের হার অত্যন্ত কম। আবার রাজস্ব আয়ের অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণ ৩৮০ শতাংশের মতো। ফলে বাংলাদেশকে উচ্চ ঋণগ্রস্ত দেশ বলা যায়।
সূত্র মতে, যদি সরকার নতুন করে আর বিদেশী ঋণ না-ও নেয়, তারপরও সাত বছর পরে ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশকে এখনকার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের বিদেশী ঋণের সমস্ত দায় শেষ পর্যন্ত জনগণের কাঁধেই পড়ে। এরই মধ্যে মাথাপিছু ঋণ দেড় লাখ টাকার মতো, যা কিছু দিন আগেও এক লাখ টাকার নীচে ছিল।
ঋণ নিয়ে চিন্তার মূল কারণ ঋণ পরিশোধের সময়। চীন, রাশিয়াসহ দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে নেয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা বেশ কম। গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিলে ১০-১৫ বছরে এ ঋণ শোধ করতে হয়, ফলে কিস্তির আকার বড় হয়। যেমন চীনের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিলে গ্রেস পিরিয়ড বাদে পরবর্তী ১০ বছরে ঋণ ফেরত দিতে হলে বছরে আসল পরিশোধ করতে হবে গড়ে ১০ কোটি ডলার। অন্য দিকে বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া ঋণ গ্রেস পিরিয়ড বাদে ৩০-৩২ বছরে পরিশোধ করতে হয়। ফলে চীনের একই পরিমাণ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নিলে বছরে আসল পরিশোধ করতে হবে গড়ে তিন কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
এ সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য কৌশলগত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের কাঠামোগত দুর্বলতা যে সেক্টরে রয়েছে সেসব সেক্টরে বিনিয়োগ করে বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ করতে হবে। যথযথ উৎপাদন করে আমদানী বন্ধ করতে হবে।
বিশেষ করে দুর্নীতি দূর করতে হবে। এতেই এমন সমৃদ্ধি আসবে যে বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ ঋণের কোনো প্রয়োজনই হবে না।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে দেশের শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষক সমাজকে অপ্রশিক্ষিত রেখে সরকারের শিক্ষার উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা কখনই সফল হবেনা।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের প্রায় ৬০ ভাগ শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তশূন্যতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিশুদের পুষ্টি সুরক্ষায় সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু শস্য উৎপাদন নয় শস্য বহুমুখীকরণের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উন্নয়নের জোয়ারের প্রচারনার বিপরীতে অল্প বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক্বপ্রাপ্তা লাখো-কোটি মহিলা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেশের অসহায় মহিলাদের প্রতি সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ২৭ তারিখ। যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশের ফসলী জমিতে কমছে জৈবসারের ব্যবহার, বাড়ছে রাসায়নিক সার। সরকারের উচিত আইন করে জৈবসার ব্যবহার ও জৈবসারের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি-প্রণোদনা প্রদান করা।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আত্মহত্যা প্রবনতারোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)