উদ্বেগজনিত হারে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা শিক্ষার ধরনকে কর্মক্ষেত্রের উপযোগী করে তোলার জন্য শীঘ্রই সক্রিয় ব্যবস্থা নিতে হবে
, ২০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
বিআইডিএসের গবেষণা অনুযায়ী, সার্বিকভাবে শিক্ষিতদের মধ্যে ৩৩ শতাংশের বেশি বেকার। আর এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা প্রথম শ্রেণি পেয়েছে, তাদের মধ্যে বেকারত্ব ১৯ থেকে সাড়ে ৩৪ শতাংশ। বিশেষ করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি প্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশই বেকার। স্নাতক পর্যায়ে এমন মেধাবীদের বেকারত্বের হার প্রায় ২৮ শতাংশ।
এদিকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া প্রতি তিনজনের একজনই বেকার বসে আছেন। আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে ৩১ শতাংশের বেশি বেকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, কাজপ্রত্যাশীদের মধ্যে সপ্তাহে ন্যূনতম এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজের সুযোগ না পেলে বেকার হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশে এমন বেকার ২৭ লাখ। বিআইডিএসের গবেষণায় বলা হয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণি পেয়েও অনেকেরই চাকরি মেলে না।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের মধ্যে সম্পূর্ণ বেকার ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এদের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ সার্বক্ষণিক এবং ১৮ দশমিক ১ শতাংশ পার্টটাইম বা খ-কালীন কাজে নিয়োজিত বেকার। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা যুবকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এই হার ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
একজন অশিক্ষিত লোক কে যতটা না কথা সহ্য করতে হয়, মানুষের বঞ্চনা শুনতে হয় তার চেয়ে হাজার গুন বেশি কথা শুনতে হয় আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারদের। আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়ে চলেছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, কিন্তু অপরপক্ষে চিন্তা করলে দেখা যায় শিক্ষিতের হার বাড়লেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি। প্রতিবছর নতুন নতুন শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশে।
এর অন্যতম কারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের চাহিদাকে বিবেচনায় না নেয়া। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রমবাজারমুখী না হওয়ায় প্রতিবছর দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউজিসির তথ্য মতে, বাংলাদেশের জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেড় শতাধিক পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ লাখের বেশি। এছাড়া মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থী রয়েছে আরও কয়েক লাখ। কিন্তু দেশের এই শিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের চাহিদার মাঝে রয়েছে লক্ষণীয় ভারসাম্যহীনতা। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, শ্রমবাজারে যেসকল বিষয়ের চাহিদা বেশি আছে তুলনামূলক তাদের যোগান কম। আর যেসকল বিষয়ের চাহিদা তুলনামূলক কম সেসকল বিষয়ের যোগান বেশি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমবাজারে এসব বিষয়ে শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থানের বিশেষ ঘাটতি রয়েছে। আবার বাণিজ্য ও বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোতে চাহিদা বেশি থাকলেও যোগানের পরিমাণ কম। এছাড়া এমন অনেক বিষয়ে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে যেগুলোর শ্রমবাজারে কোন বিশেষ চাহিদা নেই বা এখনো তৈরি করা সম্ভব হয়নি। অথচ প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এরকম নতুন নতুন বিষয় চালু করার ঘটনা ঘটছে। একারণে শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ভারসাম্যহীনতার দুষ্ট চক্রে পড়ছে।
কিন্তু এই বেকারত্বের কারণ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নয় বরং শ্রমশক্তির কর্ম দক্ষতার অভাব। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণের সাথে সমানতালে কর্মদক্ষ হয়ে ওঠছে না। আর একারণেই মূলত এই বিশাল জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হতে পারছেনা। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক জনশক্তি তৈরি করতে না পারায় দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা তৈরিতে সক্ষম হতো তাহলে এই ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সিলেবাস প্রনয়ণ করছেনা।
দেশের চাকরির প্রস্তুতি পর্ব ও পড়াশুনার ধরণ একাডেমিক পড়াশুনা থেকে অনেকাংশেই আলাদা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে শ্রমবাজারের এরূপ ভারসাম্যহীনতার কারণে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক পড়াশুনার তুলনায় চাকুরীর পড়াশুনায় বেশি মনোযোগী। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কেন্দ্রীয় পাঠাগারে গেলে দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশুনার পরিবর্তে চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর কারণ যেহেতু শিক্ষার্থীরা মনে করছে যে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে কর্মক্ষেত্রের সামঞ্জস্য নেই তাই স্নাতক পর্বের শুরুতেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চাকুরীর পড়াশুনার প্রতি ঝুঁকছে।
সঙ্গতকারণেই দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশেষত সিলেবাসকে শ্রমবাজারের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কম চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের তুলনায় শ্রমবাজারে বেশি চাহিদা সম্পন্ন বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের তাত্ত্বিক শিক্ষাকে বাস্তবতার সাথে একীভূত করে প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সোনার বাংলার আরেক সোনালী অর্থনীতি- মৎস্য সম্পদ এর সমৃদ্ধির সুফল জনগণের হাতে যথাযথভাবে তুলে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস এখন জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নারিকেল দ্বীপ বাঁচানোর মিথ্যা প্রচারণার আগে সত্যিকার অর্থে ঢাকাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সরকারের নির্দেশ আর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কমানো হচ্ছে না শিশুর কাধে ১২ কেজির বইয়ের বোঝা সংস্কারের দাবীদার- নতুন সরকার কী নতুন বছরে শিশুর কাধে বইয়ের বোঝা কমাবে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বীজ আইন সংস্কার করে শস্যের বীজে কৃষকের আসার নিশ্চিত করতে হবে।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল ঊলা শরীফ আজ।
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল উলা শরীফ। যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আহাব্বুন নাসি ইলান নাবিয়্যি, সাইয়্যিদাহ, ত্বহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, যাকিয়্যাহ, রদ্বিয়্যাহ, মারদ্বিয়্যাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
তরুণদের বিদেশমুখিতার হার দেশের জন্য আশঙ্কাজনক শিক্ষার মান উচ্চ, গবেষণার পরিবেশ সমুন্নত এবং কর্মসংস্থান প্রসারিত করে মেধা পাচার রোধ করতে হবে
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ! বাবুল ইলম, কুতুবুল আলম, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আদানির সাথে এবং স্বার্থে জালেম সরকারের ‘একতরফা’ এবং চুক্তি এক্ষুনি পরিহার করুন
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)