সমাবেশে বক্তারা:
উগ্রতাবাদী ইসকন এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নিষিদ্ধ করার দাবি
, ১৭ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দেশের খবর
গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) রাজধানীর মালিবাগ মোড় ফালইয়াফরাহু চত্ত্বরে এক সমাবেশে এ দাবি তুলে বক্তব্য দিয়েছেন ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র সংগঠনের’ নেতৃবৃন্দ।
ইসকন হিন্দুদের সংগঠন নয়, হিন্দুবেশধারী ইহুদীদের একটি সংগঠন। “ইসকন নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৫০ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। এ সংগঠনটির মূল ধারণা মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত। চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- নির্যবন করো আজি সকল ভুবন। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো।
বাংলাদেশে তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। তারা চায় বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটাতে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করা। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ইসলাম অবমাননা তার ৯০% করে ইসকন সদস্যরা। কিছুদিন পূর্বে তারা চট্টগ্রামে ৭ জন পুলিশ সদস্যদের গায়ে তীব্র এসিড নিক্ষেপ করেছে।
সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার প্রতিনিধিগণ দেশ ও জাতির কল্যাণে মোট ১৭টি দাবী উত্থাপন করেন। দাবীগুলো হলো-
১ম দফা : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোন কুলাঙ্গার মানহানী করলে তার শরঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২য় দফা : পাঠ্যক্রমে নূরে মুসজাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভূক্তকরণ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। আরবী ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩য় দফা : রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ একটি নিষিদ্ধ গান, এটি কোন প্রতিষ্ঠানে পাঠ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই এটি কোথাও পাঠ করা যাবে না। সংবিধানে জাতীয় সংগীতের অংশ হতে গানটিকে বাদ দিতে হবে। এবং তার বদলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আম্মাজান হযরত উম্মু রসুলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নাত শরীফকে জাতীয় নাত শরীফ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
৪র্থ দফা : পবিত্র কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কুফরী আইন পাশ করা যাবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধনের খসড়ায় সমকামীতার বিরুদ্ধাচারণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করায়, খসড়াটি বাতিল করতে হবে। কোন আইন বা সংবিধানের ধারা সংস্কার করতে হলে অবশ্যই তা পবিত্র কুরআন-সুন্নাহের ভিত্তিতেই করতে হবে, এর ব্যতিক্রম করা যাবে না। তবে অবশ্যই হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের আদলে দেশ পরিচালনা করতে হবে। যা করলে সর্বোত্তমভাবে দেশ পরিচালিত হবে।
৫ম দফা : বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কোন অফিস স্থাপন করা যাবে না।
৬ষ্ঠ দফা : দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবার উর্ধ্বগতি হ্রাস করতে হবে।
৭ম দফা : পাহাড়ে উপজাতিদের আদিবাসী বলা যাবে না। তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলতে হবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করতেছে, তাদেরকে দমন করতে হবে।
৮ম দফা : নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ ভ্রমণে সর্বপ্রকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। সারা দেশে যেভাবে মানুষ প্রয়োজন মাফিক ভ্রমণ করতে পারে, নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপেও একইভাবে সারাবছর ভ্রমণ করতে পারবে।
৯ম দফা : হিন্দুত্ববাদ ও ভারতসহ বিদেশী রাষ্ট্র তোষণ বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিন, ভারতসহ পৃথিবীর যে প্রান্তেই মুসলিম নির্যাতন হবে সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করতে হবে।
১০ম দফা : জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধের টিকার নামে মেয়েদের বন্ধাত্ব তৈরী করা যাবে না। টিকা দিয়ে যে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়েছে বা মারা গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
১১ম দফা : বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। অবৈধ সংযোগগুলোকে বৈধ ভাবে সংযুক্ত করলে রাষ্ট্রীয় আয়ও বাড়বে।
১২তম দফা : পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। পলিথিন ব্যবসার সাথে জড়িত কোটি কোটি মানুষের আর্থিক ক্ষতি করা চলবে না।
১৩তম দফা : নদী ও সাগরে মাছধরার উপর কোন রূপ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জেলেদের রুটি-রুজির উপর আঘাত দেয়া চলবে না। সারা বছর মাছ ধরতে দিতে হবে।
১৪তম দফা : ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশের প্রয়োজনীয় বালি-পাথর দেশের উৎস থেকেই উত্তোলন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশের পাথর ও বালি উত্তোলনে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে না।
১৫তম দফা : দেশীয় শিল্প ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে আমদানি নির্ভর করা হচ্ছে। চাল, পিয়াজ, ডিমসহ সবকিছু বিদেশ থেকে আমদানি করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করা হচ্ছে।
১৬ তম দফা : সারা দেশের বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট। অবিলম্বে দেশের সকল বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে হবে।
১৭ তম দফা : মুসলমানদের বাক স্বাধীনতা হরণ করা চলবে না। সবাই নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারলে মুসলমানরা কেন বলতে পারবে না? (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘দালাল প্রথায় আটকে আছে জনপ্রশাসন’
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বন্ধ ১৫৫ কারখানা, চাকরি হারালেন লাখো শ্রমিক
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হাজার বসতঘর, নিহত ২
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হাজার বসতঘর, নিহত ২
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এবার ১৩ বাংলাদেশিকে অপহরণ করলো ভারতীয় বিএসএফ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৩০০ কোটি টাকার নিচে নামলো লেনদেন
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ খুনে জড়িতদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম, নৌপথ বন্ধের হুঁশিয়ারি
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নভোথিয়েটার মামলায় পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাবেক এমপি সাইফুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)