ইহুদীরা মুসলমানদের দেশের পরিবেশ নষ্ট এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত খাদ্য উৎপাদনের ষড়যন্ত্রে সক্রিয়।
ইহুদী চক্রান্তে জাতিসংঘ এদেশে মহা ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ব্যাপকভাবে বনায়ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানগণ ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বড়ই বেখবর।
, ২৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন, পরিবেশ ও পানিবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার। উপমন্ত্রী জানায়, নানা আকর্ষণ থেকে মানুষ আগে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাসের মত ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ গাছগুলো লাগিয়েছে। তবে মানুষ এখন সচেতন। বিগত কয়েক বছরে মনে হয় না কেউ এসব গাছ লাগিয়েছেন। যে গাছগুলো আছে তা কেটে ফেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্ষতিকর বিদেশী গাছের প্রজাতি (ওহাধংরাব অষরবহ ঞৎবব ঝঢ়বপরবং-ওঅঞঝ) যা স্থানীয় গাছসমূহের স্বাভাবিক জীবনধারনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরা খুব দ্রুত বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় উদ্ভিদের স্বাভাবিক জীবনধারনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসব পরিবেশ ঘাতক গাছ ও দুরভিসন্ধি জনিত কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মানুষের কাছে সাধারণ গাছ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশে মূলত অস্ট্রেলিয়ান দুটি প্রজাতি ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়া (আকাশমনি) ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইহুদী চক্রান্তে টঘউচ-এর মাধ্যমে এই বিদেশী প্রজাতির গাছ ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশে আসে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ফান্ড উপজেলা পর্যায়ের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসব গাছ নিয়ে আসে। এর মধ্যে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি ইহুদী চক্রান্তে এদেশে ব্যাপক প্রচলনের জন্য এই দুটি গাছ অনেকের কাছে এখন স্থানীয় গাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
অথচ যে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইউক্যালিপটাস গাছ আনা হয়েছে। ইউক্যালিপটাস গাছ সে অস্ট্রেলিয়ায় পশুখাদ্য হিসেবে চাষ হয়। তবে সেখানে গাছ বড় হতে দেয়া হয় না; কচি অবস্থায়ই গবাদি পশু দিয়ে খাওয়ানো হয়।
অথচ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিদেশী ইউক্যালিপটাস গাছের সংখ্যা বাড়ছে দেশের সব জেলায়। গত কয়েক বছরে সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে মহাসড়কের দুই পাশে, জেলা সড়ক, বসতবাড়ি, নদী, খাল, ক্ষেতের আলসহ সর্বত্র ইউক্যালিপটাসে ছেয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে ইউক্যালিপটাস গাছের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাওয়া ও খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। আশ্রয় এবং খাদ্য হারাচ্ছে পাখিসহ অন্য বন্যপ্রাণী।
একটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘণ্টায় ভূগর্ভ হতে প্রায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে। মাটিকে নিরস ও শুষ্ক করে ফেলে। এলাকার ইউক্যালিপটাস গাছগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫০ কোটি লিটার পানি শোষণ করছে ভূগর্ভ থেকে। সাধারণত গাছ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে আর অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশ নির্মল ও প্রাণীকূলের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে। অথচ ইউক্যালিপটাস গাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং নাইট্রোজেন নির্গমন করে। ফলে এ গাছের শাখায় পাখি বসতে পারে না। এমনকি যে বসতবাড়িতে অধিক পরিমাণে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে সেসব বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যে ফলের বাগানে এ গাছের সংখ্যা বেশি সেখানে ফল কম ধরতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এর আগ্রাসী ভূমিকা কম নয়।
বাংলাদেশের বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক জায়গা এখন বিদেশি গাছের বনে পরিণত হয়েছে। এমনকি রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরের শালবন এবং বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার অনেক প্রাকৃতিক বনাঞ্চল খুব দ্রুত ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়ার বনে পরিণত হয়েছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, শুধুমাত্র বৃহত্তর রংপুরেই বিদেশি প্রজাতির এসব ঘাতক গাছ লাগানো হয়েছে এক বিলিয়নের বেশি। সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচার করা হয়েছিল যে, এসব বিদেশি গাছ খুব দ্রুত বাড়ে। ফলে একদিকে এরা যেমন জ্বালানী ঘাটতি দূর করতে সক্ষম, অন্যদিকে এসব গাছের কাঠ ঘরবাড়ি নির্মাণের উপযোগী। ফসলের জমিতে, পাহাড়ের ঢালে, বাড়ির আশেপাশে এবং বড় রাস্তার দু’পাশে ব্যাপকভাবে এসব বিদেশি গাছ লাগানো হয়েছে। এখন এসব গাছ স্থানীয় অন্যান্য গাছের উপর এবং জীববৈচিত্রের উপর মারাতœক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
সরকারের নিস্ক্রিয়তা এবং জনগণের অসচেতনতার কারণে ইউক্যালিপটাস, পাইন, আকাশমনির মত্যে বিদেশি প্রজাতির ঘাতক গাছের সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের স্থানীয় গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র ও প্রকৃতি আজ বিপন্ন। তাই অচিরেই এসব বিদেশি গাছের বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে এবং দেশের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন উনার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দ্রব্যমূল্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে মানুষ। মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট হচ্ছে জনসাধারণ। সরকারের কর্তাব্যক্তিদের রকমফের চটকদার কথার পরিবর্তে এক্ষনি মূল্যস্ফীতিকে সংকুচিত করে দেশবাসীকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৭ হাজার ৮০০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদের দেশে কয়লার ঘাটতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ কেন? বিগত মাফিয়া সরকারের পথ থেকে সরে এসে কয়লা উত্তোলন শুরু করুন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গঃ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও অপব্যবহার।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড়, তাপ মুক্তি নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি, পরিবেশ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদ হোক একটুকরো বাগান
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বন্ধ হয়েছে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে ইনশাআল্লাহ ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুদি দোকান, স্টেশনারি দোকান, শপিং মল, পার্লার, সুপার শপ সবখানেই ভেজাল কসমেটিক্স। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সরকারের কঠোর নজরদারী ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ! সাইয়্যিদাতুনা উম্মুর রদ্বাআহ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত আওলাদ, আখু রসূলিল্লাহ মিনার রদ্বাআহ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিক্ষা খাতে পতিত সরকারের বাজেটে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে- শিক্ষা উপকরণের দাম কমিয়ে বর্তমান সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শব্দ দূষণ এখন শব্দ সন্ত্রাস ও নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। নারিকেল দ্বীপ নয় শব্দ দূষণে বিপর্যস্থ ঢাকাকে উপযোগী করার জন্য ঢাকার জনযট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ মেট্রিক টন’ ৩৯ বছরের ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ উৎপাদন বাড়ছে মাছের, তবুও নাগালে নেই দাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)