শিশু পালন/পরিচর্যা (১)
ইসলামের দৃষ্টিতে শিশু সন্তানের যত্ন
, ১১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
বাবার স্নেহ ও শাসন সন্তান পরিচর্যায় সহায়ক। তবে মায়ের মুহব্বত আদর স্নেহে নির্মিত হয় সন্তানের ভবিষ্যত। শিশুর স্বপ্নিল আগামী গড়তে লালন পালনে সচেতন হতে হয় অভিভাবকদের। এ আলোচনায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শিশু সন্তানের যত্নের বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ!
প্রথমেই দেহ গঠন:
দেহের পরিচর্যার ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান হতে হবে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে। মায়েদের সন্তানের স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা ও আনন্দদায়ক শরীয়তসম্মত বিষয়ের প্রতি যতœবান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে মা-বাবাকে।
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিষয়টির প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুরাগী এবং হালাল ভক্ষণকারী নয়, এমন কোনো মহিলাকে যেন শিশুর লালন-পালন ও দুগ্ধপানের জন্যে নিয়োগ দেওয়া না হয়। কারণ হারাম দুধের মধ্যে কোনো বরকত থাকে না। সুতরাং এর থেকে শিশুর যে শারীরিক বিকাশ-সেটা হবে দুষ্টমূল থেকে তার গঠন। তখন তার স্বভাব দুষ্টুমি ও অপবিত্র বিষয়ের দিকে ঝুঁকে পড়বে।’
শিশুর মন বনে সততার বীজ:
মন আলোকিত হোক মায়ার জোছনায়, শিশুর মনে বীজ বুনুক সততার। ঈমানের আলোয় আলোকিত হোক শিশু মন। হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তার বক্তব্যে এই দিকেই ইঙ্গিত করেন- শিশুদের ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের জ্ঞান আহরণ করাবেন। অধ্যয়ন করাবেন ছাহাবীগণ উনাদের আখলাক মুবারক, আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের জীবনী মুবারক ও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় বান্দাদের ঘটনাবলী এবং শিশুদের বুঝ হওয়ার সাথে সাথে ওলী-আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবতে পাঠাবেন যাতে আদর্শবান মানুষদের প্রতি মুহব্বত অঙ্কুরিত হয়।’
এ ছাড়াও নান্দনিক চরিত্র ও ভালো আচরণে গড়ে তুলতে হবে শিশুদের। হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘শিশু হচ্ছে মা-বাবার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত একটি আমানত। তার পবিত্র আত্মা যে কোনো ছবি ও অংকন থেকে মুক্ত, নির্মল ও উৎকৃষ্ট একটি রত্ন। সেখানে যা অংকিত হবে তাই সে গ্রহণ করতে সক্ষম। যেদিকে তাকে আকৃষ্ট করা হবে সেদিকেই সে আগুয়ান হবে। সুতরাং যদি কল্যাণকর বিষয় বা শিষ্টাচার শিক্ষা ও এর ওপর তাকে অভ্যস্ত করা হয়; তাহলে এভাবেই সে গড়ে উঠবে। সৌভাগ্য তার পদচুম্বন করবে ইহ ও পরলোকে। সে সফলতা ও পুরস্কারের অংশীদার হবে তার মা-বাবা এমনকি শিক্ষকরাও। পক্ষান্তরে যদি তাকে মহান আল্লাহ পাক না করুন, চতুষ্পদ জন্তুর মতো ছেড়ে দিয়ে অকল্যাণ ও মন্দের ওপর অভ্যস্ত করা হয়, তাহলে সে হবে ব্যর্থমনোরথ ও হতভাগ্য। তখন এর দায়ভার সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিভাবকদের কাঁধে গিয়ে পড়বে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জন্মের প্রথম মাস
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে মু’মীনদের জীবন গড়ে তোলা দায়িত্ব-কর্তব্য
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৩)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নারীবাদী বলে কথা........
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)