নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
ইলম হাছিলের মূল উদ্দেশ্য-৮
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
পবিত্র কুরআন শরীফ হচ্ছে ওহীয়ে মাতলু, যা তিলাওয়াত করা এবং উহার বর্ণিত বিষয়ের অনুসরণ করা আবশ্যক। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ হচ্ছে ওহীয়ে গইরে মাতলু, যা তিলাওয়াত করা আবশ্যক নয় তবে উহার বর্ণিত বিষয়ের অনুসরণ করা আবশ্যক। তাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উভয়ের ইলম অর্জন করা।
পবিত্র সুন্নাহ শরীফ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ الله تَـعَالٰـى عَنْـهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ خَيْـرَ الْـحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ وَخَيْـرَ الْـهَدْيِ هَدْيُ مُـحَمَّدٍ وَشَرَّ الْأُمُوْرِ مُـحْدَثَاتُـهَا وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ. (رواه مسلم)
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অতঃপর নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব হচ্ছে সর্বোত্তম বাণী। আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথই সর্বোত্তম পথ বা জীবন ব্যবস্থা। আর নব উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ নিকৃষ্টতম কাজ এবং প্রত্যেক বিদয়াত-ই গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা।
[মুসলিম শরীফ]
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে যে দ্বীন ও হিদায়েত নিয়ে এসেছেন, সেটিই সর্বোত্তম পথ বা জীবন ব্যবস্থা। এটি ব্যতীত অন্য কোনো পন্থা সার্বিক কল্যাণের পথ দেখাতে পারে না। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ পরিপন্থী যে কোনো নতুন পন্থাকে বিদয়াত বলা হয়। আর সকল বিদয়াত-ই গোমরাহী।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে যে বিষয়টি প্রতীয়মান হয় তা হলো, পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে ইলম অর্জন করে সে অনুযায়ী আমল করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়াতে গোমরাহী থেকে রক্ষা করে হিদায়েতের উপর ইস্তিক্বামত থাকার তাওফীক্ব দান করবেন এবং কিয়ামতের দিন কঠিন হিসাব থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত নসীব করবেন। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য আবশ্যক, অনতিবিলম্বে ইলম অর্জন করে আমল করার কোশেশ করা। মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে সকল ইলমের গুরুত্ব অনুধাবন করার ও ইলম হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন)
[বর্তমান যামানায় এই প্রকৃত ইলম অর্জন করার একমাত্র স্থান হলো- যামানার মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং উনারই যাওজাতুম মুকাররমা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র রাজারবাগ শরীফে অবস্থিত ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা’ এবং উনাদের পবিত্র তা’লীমি মজলিস মুবারক ‘ফালইয়াফরহু শরীফ’ যেখানে উনারা প্রতিনিয়ত পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের হাক্বীক্বী ইলম শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কিভাবে প্রথম মাসে আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্য করবেন?
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ই’জায শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)