আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আকীদাহ্ মুবারক (১)
, ৩০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
اِنَّ بَـنِـىْ اِسْرَائِـيْلَ تَـفَرَّقَتْ عَلـٰى ثِـنْـتَـيْـنِ وَسَبْعِيْـنَ مِلَّةً وَّتَـفْتَـرِقُ اُمَّتِـىْ عَلـٰى ثَلاَثٍ وَّسَبْعِيْـنَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِـى النَّارِ اِلاَّ مِلَّةً وَّاحِدَةً قَالُوْا وَمَنْ هِىَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا اَنَا عَلَيْهِ وَاَصْحَابِـىْ
অর্থ: “নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মতরা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এদের মধ্যে ৭২টি দলই জাহান্নামী। আর একটি মাত্র দল জান্নাতী। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বললেন- ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেটি কোন দল? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি এবং আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা যার উপর আছি অর্থাৎ আমি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগন উনাদেরকে যে আক্বীদাহ্ ও আমল মুবারক শিক্ষা দিয়েছি, সেই আক্বীদাহ্ ও আমল মুবারক উনাদের উপর মতে মত, পথে পথ যাঁরা থাকবেন, উনারাই হলেন জান্নাতী দল।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে যে আক্বীদাহ্ ও আমল মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন, সেই আক্বীদাহ্ ও আমল মুবারক উনাদের উপর যাঁরা থাকবেন, উনারাই হচ্ছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ যারা হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলী এই চার মাযহাব উনার কোন এক মাযহাবের অনুসারী। আর আদিল্লায়ে আরবায়া অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদিছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র কিয়াছ শরীফ এই ৪ দলীল মানেন উনারা হচ্ছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার অর্ন্তভূক্ত। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কতিপয় বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক তুলে ধরা হলো-
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি খালিক্ব, তিনি মালিক, তিনি রব। তিনি একমাত্র মা’বুদ ও ইলাহ্। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি অনাদি অনন্ত। উনার সমকক্ষও কেউ নেই। তিনি সব কিছু থেকে বেনিয়াজ, তিনি নিরাকার। তিনি আকার আকৃতি হতে পূতপবিত্র। উনার হাত-পা বা অঙ্গ-প্রতঙ্গ আছে বলে বিশ্বাস করা শিরক। উনাকে আলো অর্থে নূর বলা কুফরী; বরং তিনি আসমান যমীন আলোকিতকারী বা হিদায়েত দানকারী অর্থে নূর। একইভাবে উনার জাতী নূরে বিশ্বাস করাও কুফরী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনিও কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেননি। মহান আল্লাহ পাক উনার ৮টি জাতী ছিফত মুবারক রয়েছেন- (১) ইরাদা বা ইচ্ছা। (২) বাছার বা দেখা। (৩) তাকউয়ীন বা হওয়া বা পয়দা করা। (৪) হায়াত। (৫) সামউন অর্থাৎ শোনা। (৬) ইলিম। (৭) কালাম। (৮) কুদরত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ১০টি বিষয় থেকে পবিত্র। এ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছেন-
اَللهُ مُنَـزَّهٌ عَنْ جِسْمٍ وَّجَوْهَرٍ وَّعَرْضٍ وَّتَصْوِيْرٍ وَّتَـعْدِيْدٍ وَّتَـبْعِيْضٍ وَّتَـجْزِىٍ وَّتَـرْكِيْبٍ وَّتَـنَاهِىٍّ وَّتَـحْدِيْدٍ
মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম বা শরীর বা নির্ভরশীলতা থেকে, চওড়া বা প্রশস্ত হওয়া থেকে, পরিধি বা ব্যাস বা বস্তু বিশিষ্ট হওয়া থেকে, আকৃতি থেকে, সংখ্যা থেকে, টুকরা টুকরা হওয়া থেকে, অংশ হওয়া থেকে, সম্মিলিতরূপ হওয়া থেকে, না হওয়া থেকে, সীমা শেষ হওয়া থেকে ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকেই পবিত্র।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক:
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি। ২. মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সমস্ত কিছু দিয়ে সৃষ্টি মুবারক করে উনার সাথে সংযুক্ত করেছেন। ৩. তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক অর্থাৎ নিয়ন্ত্রন মুবারকে রয়েছেন অর্থাৎ হাক্বীক্বী দীদার, যিয়ারত, ছোহবত মুবারক উনাদের মধ্যে সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিলেন, এখনও আছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ থাকবেন। ৪. উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযিলতসমূহ উনাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বশরীরে পবিত্র মি’রাজ শরীফ অন্যতম। আর পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনাকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। ৫. তিনি হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ৬. তিনি মুত্ত্বলা’ আলাল গইব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত ইলিম মুবারকের মালিক বানিয়েছেন। ৭. তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। ৮. তিনি ছহিবে শাফায়াতে কুবরা। উনার শাফায়াত ব্যতিত কেউ নাজাত লাভ করতে পারবে না। ৯. তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ১০. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র তাহতাদ্দুলু’ অর্থাৎ পবিত্র বাম পাজর মুবারক উনার নীচ দিয়ে কুদরতীভাবে জমিনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। ১১. মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেছেন। অতঃপর উনার সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে এক কাতরা নূর মুবারক নিয়ে সারা কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। তবে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার জাতী নূর নন। জাতী নূরে বিশ্বাস করা কুফরী। ১২. তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন। ১৩. উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম বা শরীর মুবারক-এ) যা কিছু ছিলেন, সবকিছুই ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম। উনাতে কখনো মশা-মাছি বসতোনা। ১৪. উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুশ শিফা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোট ইস্তেঞ্জা মুবারক) যাঁরা পান করেছেন, উনারা সর্বোচ্চ শ্রেণীর জান্নাতী। ১৫. এক মুহূর্তের তরেও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তার্বারুক মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্পর্শ মুবারক-এ) যা কিছু এসেছেন তা আসমান-যমীন, সম্মানিত কা’বা শরীফ, সম্মানিত কুরসী শরীফ, মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে যা কিছু রয়েছে; এমনকি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকে কোটি কোটি গুণ বেশি পবিত্র, ফযীলতপ্রাপ্ত, সম্মানিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। ১৬. উনার কারণেই সমস্ত কিছু সম্মানিত হয়েছেন এবং হবেন। তিনি কারো কারণে সম্মানিত নন। ১৭. একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত কায়িনাত উনার খাদিম। ১৮. তিনি স্বয়ং নিজেই সম্মানিত ঈমান। ১৯. তিনি সৃষ্টির কারো মতো নন। উনাকে অন্যদের মতো সম্বোধন করা বা আহ্বান করা কুফরী। ২০. উনাকে সৃষ্টির কারো সাথে তুলনা করা সুস্পষ্ট কুফরী। ২১. উনাকে আমাদের মত মানুষ বলা সুস্পষ্ট কুফরী। ২২. একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলের মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত কালিমা শরীফ হচ্ছেন-لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ। ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি শুধু لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ বলে, তাহলেও সে ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ না বলবে। সুবহানাল্লাহ! ২৩. উনাকে পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, আত্মীয়-স্বজন, অর্থ-সম্পদ; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। ২৪. উনার কোনো ছায়া মুবারক ছিলেন না। ২৫. মহান আল্লাহ পাক তিনি ও হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দায়িমীভাবে নূরে মুকজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করছেন। তাই দায়িমীভাবে ২৪ ঘণ্টাই উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্যই ফরযে আইন। ২৬. তিনি ‘খ¦াতামুন নাবিয়্যীন’ বা সর্বশেষ নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার পরে আর কেউই নবী-রসূল হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করবেন না। ২৭. উনার পরে কেউ নবী দাবি করলে সে কাট্টা কাফির হয়ে চির জাহান্নামী হবে। যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি। ২৮. তিনি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক ব্যতীত কোনো কথা মুবারক বলেননি, কোনো কাজ মুবারক করেননি এবং কোনো কিছু সমর্থন মুবারকও করেননি। ২৯. উনার ব্যক্তিগত যিন্দেগী বলে কিছু নেই। উনার পুরো হায়াত মুবারক মহাসম্মানিত নবুওয়াতী ও রিসালতী যিন্দেগী মুবরক। তিনি নিজ থেকে কিছু বলেছেন, করেছেন বা সমর্থন করেছেন এরূপ আক্বীদাহ্ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। ৩০. উনার হাটা-চলা মুবারক, নড়া-চড়া মুবারক, খাওয়া-দাওয়া মুবারক, ঘুম মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্বপ্ন মুবারকও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। ৩১. তিনি হচ্ছেন শারে’ বা শরীয়ত প্রণেতা। ৩২. মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেকে প্রকাশ করার জন্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! ৩৩. উনাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কোনো কিছুই সৃষ্টি করতেন না; এমনকি রুবূবিয়াত মুবারকও প্রকাশ করতেন না। ৩৪. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রচার-প্রসারই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রচার-প্রসার। আর এটাই হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! ৩৫. মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। ৩৬. তিনি সর্বকালে সবার জন্য উসওয়াতুন হাসানাহ। উনাকে ইত্তেবা করা ব্যতীত কস্মিনকালেও মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়া যাবেনা। উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদেরকে ইহানত করা কুফরী। ৩৭. উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ বিন্দু থেকে বিন্দুতমও কোনো কিছু বলা বা করা কাট্টা কুফরী। ৩৮. উনার পূর্বপুরুষ ও পূর্বমহিলা কেউই কাফির-মুশরিক বা মানবীয় কোনো দোষে কখনোই দোষী ছিলেন না; বরং উনারা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মনোনীত মহান ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক:
১. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক। ২. উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা। ৩. উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করা ঈমান আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। ৪. উনাদেরকে জাহান্নামী বলা, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!! না‘ঊযুবিল্লাহ!!! অথবা উনারা জান্নাতী এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। ৫. উনারা ঈমানদার ছিলেন না বা উনারা ঈমান ব্যতীত ইন্তেকাল করেছেন, অথবা উনাদেরকে রওযা শরীফ থেকে তুলে ঈমান দেয়া হয়েছে, না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!! না‘ঊযুবিল্লাহ!!! এরূপ আক্বীদাহ্ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। ৬. উনাদের সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাত সমস্ত প্রকার নিয়ামত মুবারক পেয়েছে, পাচ্ছে এবং অনন্তকাল যাবৎ পেতেই থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)