আলোচনায় বা লেখনীতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত বা নাম মুবারক বারবার বলা ও লেখা সম্পূর্ণ আদবের খিলাফ (২)
, ১৭ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এভাবেই সুন্দর সুন্দর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম এবং সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে- নামধারী আলিম, বক্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই তাদের আলোচনায়, লিখনীতে, কথা-বার্তায় সব স্থানেই বারবার সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক বলে থাকে ও লিখে থাকে। এমনকি সেখানে তারা কোনো আদবও রক্ষা করে না। নাঊযুবিল্লাহ! তারা একে অপরকে যেভাবে সম্বোধন করে সেভাবেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! যেটা চরম আদবের খিলাফ এবং ঈমান নষ্ট হওয়ার কারণ। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে সামান্য থেকে সামান্যতম বেয়াদবী করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
আর স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিষেধ করেছেন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মানুষ যেভাবে একে অপরকে সম্বোধন করে সেভাবে সম্বোধন করতে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا تَـجْعَلُوْا دُعَآءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَآءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا
অর্থ: তোমরা পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করো না। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৩)
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী, উম্মত, কায়িনাতবাসী সবাইকে নিষেধ করে দিয়েছেন যে, তারা একে অপরকে যেভাবে সম্বোধন করে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যেন সেভাবে সম্বোধন মুবারক না করে। অর্থাৎ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত ও আদবের সাথে সম্মান মুবারক বজায় রেখে সম্বোধন মুবারক করতে হবে। উল্লেখিত সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তাফসীর গ্রন্থসমূহে বিষয়টা আরো স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে।
হযরত কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন-
أمر الله أن يهاب نبيه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وان يبجل وان يعظم وان يفخم ويشرف.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শ্রদ্ধা করার জন্য, সম্মান মুবারক করার জন্য এবং মর্যাদা মুবারক দেয়ার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ১১/১২৮)
হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
أَمرهم أَن يقولوا يا رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ في لين وتواضع ولا يقولوا يا محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ في تجهم
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনদেরকে আদেশ মুবারক করেছেন, অত্যন্ত নমনীয়তা ও বিনয়ের সাথে ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন মুবারক করার জন্য। আর বিষন্নতা বা বিরক্তির সাথে উনার মহাসম্মানিত ইসমে যাত মুবারক ধরে সম্বোধন করতে নিষেধ করেছেন। ” (তাফসীরে মুজাহিদ ২৭১ পৃষ্ঠা, তাফসীরে দুররে মানছূর ১১/১২৮)
‘তাফসীরে মাক্বাতিল’ উনার মধ্যে বর্র্ণিত রয়েছে-
يقول الله عز وجل لا تدعوا النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ باسمه يا محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ويا ابن عبد الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إذا كلمتموه كما يدعو بعضكم بعضاً باسمه يا فلان ويا ابن فلان ولكن عظموه وشرفوه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وقولوا يا رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يا نبي الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার সম্মানিত নাম মুবারক ধরে- ইয়া মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে অথবা ইয়া ইবনু আব্দিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন করো না। যেমনিভাবে তোমরা পরস্পর কথা বলার সময় একে অপরকে হে অমুক বা হে অমুকের পুত্র অমুক বলে সম্বোধন করে থাকো। বরং তোমরা উনাকে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে সম্বোধন মুবারক করো। তোমরা বলো ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ইয়া নাবিইয়াল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” (তাফসীরে মাক্বাতিল ইবনে সুলাইমান ২/৪২৮)
‘তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
يقول لا تسموه إذا دعوتموه يا محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ولا تقولوا يا ابن عبد الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ولكن شرفوه فقولوا يا رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يا نبي الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করবে তখন উনার সম্মানিত নাম মুবারক ধরে এভাবে ইয়া মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন করবে না। এমনকি এভাবেও বলবে না- ইয়া ইবনা আব্দিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বরং তোমরা অত্যন্ত সম্মানের সাথে বলবে, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ইয়া নাবিইয়াল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” (তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৮/২৬৫৫) (অসমাপ্ত)
-মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন; এ ছাড়া সকল মর্যাদা ও মাক্বাম উনার অধিকারী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনুসরণীয় চার মাযহাব উনাদের ফতওয়া মুতাবিক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খলীফা মনোনীত হওয়ার ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৭)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম-নাজায়িয এবং বিদ্রোহীকে কতল করা বৈধ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)