আমদানি কমাতে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে সরকার
, ১৬ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বিদেশের খবর
অবশেষে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে অপ্রাপ্যতার সঙ্গে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ বলে জানা গেছে। জ্বালানি বিভাগ বলছে, দেশের যেসব খনি ইতোমধ্যে উৎপাদনে রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। খনিগুলোর আশেপাশের একই ধরনের ভূগঠনে গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করা হবে। এতে করে দৈনিক অন্তত ৬০০ থেকে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন দেশীয় গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
যদিও সময় মতো এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা রয়েছে। কিন্ত দেশীয় জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির কোনও বিকল্প নেই। সরকার এখন ভোলা এবং বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের এক্সটেনশনকেই জ্বালানি সংস্থানের সব চাইতে বড় এলাকা বলে বিবেচনা করছে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিবিয়ানার মজুত আরও দেড় টিসিএফ বাড়তে পারে। শেভরন বাংলাদেশকে যে নতুন এলাকা দেওয়া হয়েছিল সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে এই সম্ভাবনা দেখা গেছে।
যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দিতে বাকি রেখেছে সরকার। তবে প্রতিমন্ত্রী মনে করছেন শিগগিরই এ ঘোষণা দিতে পারবেন তারা।
শেভরন বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে দুই বছর আগেও প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হতো। তবে সেই গ্যাসের উৎপাদন এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে। বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের আশেপাশের এলাকা অনুসন্ধানের জন্য চায় শেভরন। সরকার সেই অনুমোদন দেওয়ার পর নতুন এলাকায় কাজ শুরু করে শেভরন। এখন এই বর্ধিত অঞ্চলই নতুন আশা জাগাচ্ছে।
ভোলায় দুটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে বাপেক্স। উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও সেখান থেকে গ্যাস আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আরও বেশি গ্যাস পাওয়া গেলে সেখানে নতুন পাইপলাইন বসাতে চায় সরকার। এই পাইপলাইন বসানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভোলার গ্যাস দিয়ে বরিশাল এবং খুলনার শিল্প কারখানা চাঙ্গা করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে সরকার। নির্বাচনের পর ইতোমধ্যে ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে জ্বালানি বিভাগ।
বাপেক্স সূত্র বলছে, ভোলাতেই আরও পাঁচটি কূপ খনন করা হবে। এই পাঁচটি কূপেই গ্যাস পাওয়া গেলে এর আশেপাশের এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হবে। বিস্তৃর্ণ দ্বীপে নতুন করে গ্যাস পাওয়ার আশাও করছে বাপেক্স।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে স্থলভাগে আরও ৫০টি কূপ খনন করতে চায় তারা। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন করবে। এতে করে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ৬০০ থেকে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কূপ খনন শেষ হলেই বলা যেতে পারে কতটা গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে। দেশের খনিগুলোর মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে নতুন কূপ খনন করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গণহত্যার বিজ্ঞান: দমন-পীড়ন, অপরাধযজ্ঞে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা - ফিলিস্তিনি ভূখ- পরগাছা ইসরায়েলের প্রযুক্তির একটি উন্মুক্ত পরীক্ষাগার
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সিরিয়া নিয়ে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের দিকে আঙ্গুল তুললো রাশিয়া
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘অবিভক্ত ভারত’-এ পাকিস্তান-বাংলাদেশকে দিল্লির আমন্ত্রণ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সৌদি আরবে ভয়াবহ বন্যা, মক্কা শরীফ-মদীনা শরীফে ‘হাই রেড অ্যালার্ট’
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল: ‘মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে’
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে জেঁকে বসেছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ভয়
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৪ আরব দেশের ভূখণ্ডকে দখলদার ইসরায়েলে অন্তর্ভুক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ!
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিভিন্ন দেশে অপরাধী সেনাদের বিচার নিয়ে ইসরাইলে আতঙ্ক
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের সামরিক যান ধ্বংসের দুর্দান্ত চিত্র প্রকাশ করেছে আল-কাসসাম ব্রিগেড
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান: ইসরাইল শান্তির রং উপভোগ করতে পারবে না
০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না : ট্রুডো
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নেপালে ভূমিকম্পের পর এক ঘণ্টায় ৬টি আফটার শক
০৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)