আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই
, ১২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমুয়া শরীফ (খমীস দিবাগত জুমুয়াবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “ইদানিং কালে দেখা গেছে অতীতের অনেক আওলিয়ায়ে কিরাম, চেনা-অচেনা, জানা-অজানা উনারা অনেকে আসেন, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেন। কয়েকদিন আগে হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এসেছিলেন। উনি কয়েক দিন ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন।
উনি তো অনেক বড় ওলীআল্লাহ, বুযূর্গ, আলেম। ক্বাদরিয়াহ্ খান্দানের খলীফা আবার হযরত মুজাদ্দীদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারও খলীফা উনি। উনি প্রতিদিন বাদ ইশা নামায পড়ে মুরাকাবায় বসে চোখের পলকে হিন্দুস্থান থেকে সুদূর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক-এ চলে যেতেন এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন।
উনি কয়েকদিন থাকলেন, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলেন। একদিন আমি উনাকে ডাকলাম, এদিকে আসেন। উনি কাছে আসলেন। উনাকে একটা মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলাম আমি। উনি তো বড় মুফতী, মুহাদ্দিছ, অনেক কিছু, আলেম, ফক্বীহ, ওলীআল্লাহ। আমি বললাম যে, দেখেন- আমরা ফতওয়া দেই, কি ফতওয়া দেই? আমরা ফতওয়া দেই বর্তমানে হজ্জ করা নাজায়িয। আপনি তো মক্কা শরীফ-এ ছিলেন, মদীনা শরীফ-এ ছিলেন। তখন তো আর ক্যামেরা ছিলো না। বললেন- হ্যাঁ। স্বীকার করলেন উনি চুপ করে। অত্যন্ত আদবের সাথেই উনি সম্মতি প্রকাশ করেছেন। যাই হোক। আমি বললাম যে, এই ব্যাপারে আপনি কি বলেন? আমারা তো ফতওয়া দেই হজ্জ করা এখন জায়েয নেই, হারাম। কারণ হাজার হাজার ছবি তুলতে হয়। ওখানে কুফরী কাজ করতে হয়। বেপর্দা হতে হয়। তখন উনি চুপ থাকলেন। এরপর অত্যন্ত আদবের সাথে উনি বললেন, ‘এটা সম্মতি প্রকাশ করলেন যে, হ্যাঁ; এই ফতওয়াটাই সঠিক এবং আপনার ফতওয়ার উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহি সালাম!) আপনি যেই ফতওয়া দিয়েছেন এটাই সঠিক। এর উপরে কারো ফতওয়া দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহি সালাম!)
বুঝতে পারলে? যা শুনবে, সে অনুযায়ী আমল করবে। এটা মনে রাখবে।
তোমরা বুঝতে পারো না; কিন্তু অনেকে নফসের কারণে অনেক কিছু করে। এটা কিন্তু মূল বিষয় না। নফসকে নিয়ন্ত্রন করাই হচ্ছে মূল বিষয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ. وَالْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا وَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ
‘জ্ঞানী ওই ব্যক্তি যে নফসকে নিয়ন্ত্রন করে এবং পরকালের আমল করে। আর নির্বোধ, মূর্খ, নাদান ঐ ব্যক্তি যে নফসের পায়রবী করে আর মনে করে অনেক কিছু হাছিল করবে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মনে রাখতে হবে।”
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)