সরু চোখে...
আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন মুসলমানদের জন্য নয় বরং কাফির-মুশরিকদের জন্য প্রযোজ্য
, ০২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
এসব কথার অর্থ হলো, যে ব্যক্তি যে কাজের জন্য উপযুক্ত, তাকে সে কাজেই নিযুক্ত করা। ব্যতিক্রম হলে বিপত্তি দেখা দেয়। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এবং যিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকের জন্য তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যতা ও যোগ্যতার নিরিখে দায়িত্বের সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
পুরুষের জন্য ঈমান সুদৃঢ় রাখা, নামায আদায় করা, রোযা পালন, যাকাত আদায় এবং পবিত্র হজ্জ পালন এর পরই হালাল কামাই করার কোশেশ করা ফরয করে দিয়েছেন। অর্থাৎ গুরুত্বের দিক দিয়ে পুরুষের জন্য ষষ্ঠতম ফরয হলো হালাল কামাই করা।
আর মহিলাদের জন্য ষষ্ঠতম ফরয হলো পর্দায় থাকা। আর এর বিপরীত হলেই বিপর্যয় দেখা দিবে, অশান্তির সৃষ্টি হবে, লানতগ্রস্ত হতে হবে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “কোনো মহিলা ঘর থেকে বের হলেই ইবলিস শয়তান উঁকি-ঝুঁকি দিতে থাকে কি করে তাকে দিয়ে হারাম কাজ করানো যায়। ” নাউযুবিল্লাহ!
আবার কোনো পুরুষ যদি সন্তান লালন-পালন করতে চায় সেটা তার পক্ষে সম্ভব নয় এবং কোনো মহিলা যদি কামাই করতে যায়, সেটাও শারীরিক যোগ্যতার সীমাবদ্ধতার কারণে যথাযথ পরিশ্রম করা সম্ভব হবে না, কামাইটা হালাল হবে না বরং নানারকম ফিতনার সৃষ্টি হবে।
৮ই মার্চ পালিত হয় কথিত বিশ্ব নারী দিবস। এ কথিত দিবসটিতে সেøাগান দেয়া হয়, মহিলাদের আরো বেশি ক্ষমতায়ন দরকার, স্বাধীনতা দরকার। তাহলে মানবতার উন্নয়ন হবে। শব্দগুলো চটকদার এবং বিভ্রান্তিমূলক। আসলে আমাদের দেশে অশান্তি সৃষ্টি, সামাজিক অবক্ষয় ত্বরান্বিত করা, এদেশের সন্তানরা সুনাগরিক হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ এবং মুসলমানদের ঈমান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য কাফির-মুশরিকরা যেসব ফন্দি-ফিকির করে থাকে, নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।
সহজে বুঝার জন্য একটি ঘটনার উল্লেখ করছি। চাকুরী করে এক মহিলা। তার সাত বছরের একটি মাত্র ছেলে সন্তান আছে। আর্থিক সচ্ছলতা প্রচুর থাকা সত্ত্বেও সে জন্ম নিযন্ত্রণের নামে হারাম প্রক্রিয়ায় চলছে। তার ভাষায় তার সমস্যা হলো, সন্তানকে লালন-পালন করবে কে? সন্তানের পিতাও চাকুরী করে। একদিন তার ফ্লোরে কোনো একটা কাজে গিয়ে পাশের রুম থেকে শুনতে পাই, ঐ মহিলাকে ফোন করেছে তার ছেলে।
ছেলের প্রশ্ন- মা তুমি কোথায়? বাসায় আসো। আমি কার সাথে থাকবো? আমার খারাপ লাগছে, তুমি বাসায় চলে আসো। তোমার টাকা আয় করা লাগবে না। আমি তোমার কাছে কখনও টাকা চাইবো না। তুমি বাসায় আসো।
ঐ মহিলা ব্যস্ততার মধ্যে উত্তর দিলো। আমিতো অফিসে বাবা। অফিস শেষ করে আসবো। তুমি নাস্তাটা খেয়ে টিভি ছেড়ে টিভির সামনে বসে থাকো। নাউযুবিল্লাহ!
তার কয়েকদিন পর মায়ের সাথে ছেলেটাকে দেখলাম। দেখলাম, বয়স অনুপাতে তার যে পরিমাণ বুদ্ধিমত্তার বিকাশ হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়নি।
এখন ফিকিরের বিষয়, টাকা-পয়সা উপার্জন কার জন্য? ঐ ছেলের ভবিষ্যতের জন্যই তো! কিন্তু ছেলেটার বুদ্ধিমত্তার বিকাশ যদি তেমনটা না হয়, তাহলে এই অর্জিত টাকা-পয়সা দিয়ে কি হবে? আজ যে ছেলেটা মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হলো অর্থাৎ পিতা-মাতার সান্নিধ্য এবং তাদের মধ্যে পর¯পর স্নেহ-মমতার আদান-প্রদান না হওয়ার কারণে ঐ ছেলেটাও হয়তো একদিন তার পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। সর্বোপরি এই ছেলেটা হারাম টিভি-সিনেমা দেখে দেখে কি শিখবে? পাশাপাশি একদিন সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধাচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। নাউযুবিল্লাহ!
আর সম্মানিত ইসলাম উনার বিরোধিতা করে মৃত্যুর পর এই আদরের সন্তানের স্থান কোথায় হবে?
তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই অর্থ কামাইয়ের অর্থ হলো সব অনর্থের মূল। আর এজন্যই আমার বলার বিষয়, সম্মানিত দ্বীন ইসলামে মহিলাদের যে উঁচু আসন ও মর্যাদা দিয়েছে, এরপর যদি কেউ মনে করে তার প্রাপ্যটা পুরোপুরি হয়নি এবং আরো বেশি স্বাধীকার চাই, ক্ষমতা চাই তাহলে বুঝতে হবে, নিশ্চয়ই ঐ মহিলা পথভ্রষ্টা। নইলে মস্তিষ্ক বিকৃত কিংবা ঐ মহিলা কি করতে চায়, কি পেতে চায় সেটা সে নিজেই জানে না।
বিশেষ করে কোন মহিলা যদি এই হক্ব বিষয়টি বুঝতে চায়, তবে তার উচিত হবে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত শায়েখ উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে এসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম শিক্ষা করা এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারকগুলো যথাযথভাবে পালন করা, তবেই হাক্বিকী বোধোদয় হওয়া সম্ভব।
-উম্মু আমিম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্তানদের ও পরিবারের সকলকে সালাম দেয়া শিক্ষা দান করুন
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল দানশীলতা মুবারক (৪)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফের বিশ্বে নারীরা শুধু কি এখন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
একজন দ্বীনদার পরহেযগার আল্লাহওয়ালী মহিলা উনার পর্দা পালনের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মহিলা জামাত নাজায়িজ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে দ্বীনদার হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিতা মহিলা আউলিয়া-ই কিরাম উনাদের পরিচিতি
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বচক্ষে দেখা কিছু কথা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পারিবারিক তা’লীমের গুরুত্ব ও তারতীব
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ : মেথি
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)