সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
আজ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ দিবস মুবারক
, ০৩ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুয যুফাফ শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “আমরা যখন হাবশাহ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ তাশরীফ মুবারক নেই, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বরে অবস্থান মুবারক করছিলেন। কেউ কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট গিয়েছেন।
وأقمت بالمدينة حتى قدم النبي صلى الله عليه وسلم فدخلت عليه
‘আর আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতে থাকি। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বর থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর আমি উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেই’। ” সুবহানাল্লাহ!
আল্লামা হযরত ইমাম আহমদ ইবনে ইয়াহ্ইয়া ইবনে জাবির ইবনে দাঊদ বালাযূরী রহতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ২৭৯ হিজরী শরীফ) বলেন,
فلما تقدم حضرت عَمْرو بن أمية رضى الله تعالى عنه بِاُمِّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلْـحَادِيَةِ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِدَتِنَا حَضْرَتْ اُمِّ حَبِـيْـبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) المدينة ابتنى بِهَا رَسُول اللَّه صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “অতঃপর যখন হযরত ‘আমর ইবনে উমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ আগমন করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাইলাতুয্ যুফাফ শরীফ পালন করেন। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ তুলে নেন। ” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/৪৩৯)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারকখানা ছিলেন- ৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত)। তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩৬ বছর ৮ মাস ৪ দিন। সুবহানাল্লাহ! তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন ৪ বছর ১ মাস ৯ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক:
হাবশায় যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন, তখন হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উনার ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন তৃতীয় খলীফা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফাতো বোন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি পুনরায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওলীমা মুবারক উনার ব্যবস্থা মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا سيدنا حضرت ذو النورين عليه السلام (سيدنا حضرت عُثْمَانُ عليه السلام) لَحْمًا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার (আযীমুশ শান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার) সম্মানার্থে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি গোশত খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্মানিত ওলীমাহ্ মুবারক উনার ব্যবস্থা মুবারক করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গ¦াবাহ্ ৩/৩৫৩, আওনুল মা’বূদ ১০৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْـمٰنِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ أَنَّهُ قَالَ سَأَلْتُ ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حضرت الصديقة عليها السلام زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمْ كَانَ صَدَاقُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ لِأَزْوَاجِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا قَالَتْ أَتَدْرِي مَا النَّشُّ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَتْ نِصْفُ أُوقِيَّةٍ فَتِلْكَ خَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ فَهَذَا صَدَاقُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَزْوَاجِهِ
অর্থ: “হযরত আবূ সালামাহ ইবনে আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পক্ষ থেকে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক কত ছিলেন? (জবাবে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পক্ষ থেকে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক ছিলেন ১২ আওক্বিয়াহ্ এবং ১ নাশ্শুন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আপনি কি জানেন নাশ্শুন কি? হযরত আবূ সালামাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি বললাম- না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অর্ধ আওক্বিয়াহ্। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহ্রানা মুবারক হচ্ছেন ৫০০ দিরহাম। এটাই ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (পক্ষ থেকে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহ্রানা মুবারক। ” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, সুনানে দারিমী ২/১৮৯, মুস্তাদরকে হাকিম ৪/২৩, মুসনাদে আহমদ ৬/৯৩, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৭/২৩৩, মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বাইহাক্বী ১০/২০৮, আস সুনানুছ ছুগরা লিল বাইহাক্বী ৬/২২১, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী ৯/১২৩, মুসনাদুশ শাফি‘য়ী ১/৩১১, হিলয়াতুল আউলিয়া ৯/১৬১ ইত্যাদি)
আল্লামা হযরত ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ হাকিম নীশাপূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৪০৫ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الإِسْنَادِ وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ وَإِنَّمَا أَصْدَقَ حَضْرَتْ اَلنَّجَّاشِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اُمَّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلْـحَادِيَةَ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ حَبِـيْـبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ
অর্থ: “এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদখানা ছহীহ এবং উনার উপরই আমল জারি রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যদিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৪০০ দিনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৪/২২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
فقالت اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْـنَ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَلْـحَادِيَةُ عَشَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِدَتُنَا حَضْرَتْ اُمُّ حَبِـيْـبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) فخرجنا في سفينتين وبعث حَضْرَتْ اَلنَّجَّاشِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ معنا الملاحين حتى قدمنا الجار ثم ركبنا الظهر إلى المدينة فوجدنا رسول الله صلى الله عليه وسلّم بخيبر فخرج من خرج إليه وأقمت بالمدينة حتى قدم رسول الله صلى الله عليه وسلّم فدخلت عليه وكان يسألني عن حَضْرَتْ اَلنَّجَّاشِـىِّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وقرأت عليه من حضرت أبرهة رحمة الله عليه السلام فرد رسول الله صلى الله عليه وسلّم وقال لا أدري أنا بفتح خيبر أشد أم بقدوم حَضْرَتْ جَعْفَرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وأنزل الله تعالى عَسَى اللَّهُ أَنْ يَجْعَلَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الَّذِينَ عادَيْتُمْ مِنْهُمْ مَوَدَّةً
অর্থ: “তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এরপর আমরা দুটি জাহাজে করে বের হলাম। আর হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাদের সাথে দুইজন নাবিককে প্রেরণ করেন। আমরা নিরাপদ স্থানে এসে জাহাজের উপরিভাগে আরোহণ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ পর্যন্ত এসে পৌঁছি। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বরে অবস্থান মুবারক করছিলেন। কেউ কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেন। আর আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতে থাকি। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বর থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর আমি উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নেই। তিনি আমাকে হযরত নাজ্জাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা মুবারক করেন। তখন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ হযরত আবরাহা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত সালাম মুবারক পেশ করলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সালামের জওয়াব মুবারক দিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন,
لا أدري أنا بفتح خيبر أشد أم بقدوم حَضْرَتْ جَعْفَرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ
‘আমি জানি না, আমি বেশী খুশি খায়বর বিজয়ের কারণে নাকি (সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ্ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে) হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ) আগমনে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খায়বর বিজয়ের কারণে যতটুকু খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ নিয়ে আসার কারণে তার চেয়ে অনেক বেশী সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন-
عَسَى اللَّهُ أَنْ يَجْعَلَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الَّذِينَ عادَيْتُمْ مِنْهُمْ مَوَدَّة
‘অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের মধ্যে এবং যারা আপনাদের শত্রু তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দিবেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (আল কাশফু ওয়াল বয়ান ‘আন তাফসীরিল কুরআন ৪/৯৯)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)