আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঐতিহাসিক ৬ই রজবুল হারাম শরীফ।
কুতুবুল মাশায়িখ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজায়ে খাজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস অর্থাৎ পবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব। এবং পবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ উনার তাৎপর্য অনুধাবন করার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে আসাও ফরয।
, ০৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩১ সামিন, ১৩৯০ শামসী সন, ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১৫ মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক উনার মধ্যে দাখিল করে নেন।” (পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৫)
মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে আখাচ্ছুল খাছভাবে রহমতপ্রাপ্ত এ ধরনের একজন ওলীআল্লাহ হচ্ছেন সুলতানুল হিন্দ, খাঁজায়ে খাঁজেগাঁ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
উনার তাশরীফ মুবারক গ্রহণের পূর্বে প্রায় ১৭৫ বৎসর আগে গজনীর সুলতান মাহমুদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রায় ১৭বার ভারতবর্ষে আক্রমণ করেন। কিন্তু তিনি এদেশে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করতে পারেননি। ১১৯০-৯১ সালে সুলতান মুহম্মদ ঘুরী এক বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ভারত আক্রমণ করলে যালিম পৃথ্বিরাজ অন্যান্য যালিম হিন্দু রাজপুতদের সাহায্য নিয়ে মুহম্মদ ঘুরীকে ফিরিয়ে দেয়। এদিকে সৈন্যবাহিনী প্রেরণ, যাদুকর প্রেরণ, তাত্ত্বিক কাপালিক ঐন্দ্রজালিক প্রেরণ, সর্বোপরি হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার লোকদের উপর পৃথ্বিরাজের চরম নির্যাতন অত্যাচার যখন চরম মাত্রা ধারণ করলো তখন হাবীবুল্লাহ, সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এক টুকরা কাগজে পৃথ্বিরাজকে লিখে পাঠালেন- ‘মান তোরা জেন্দা বদস্তে লশকরে ইসলাম ব-সোর্পদম’। অর্থাৎ ‘আমি তোমাকে তোমার জীবতাবস্থাতেই মুসলিম সেনাদের হাতে সোপর্দ করলাম’। এরপরই শেখ শিহাবুদ্দীন মুহম্মদ ঘুরী ১১৯২ সালে যালিম পৃথ্বিরাজকে পরাজিত করেন ও নিহত করেন। বলতে গেলে গোটা ভারতবর্ষে তথা হাবীবুল্লাহ, খাজায়ে খাজেগাঁ হযরত খাজা ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম কায়িম হয়। যার দ্বারা আরো একবার প্রতিভাত ও প্রমাণিত হয় যে- পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে কায়িমের জন্য রাজশক্তি বা রাজনৈতিক দল প্রয়োজন নয়, প্রয়োজন রূহানী শক্তি।
উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় উনার কপাল মুবারক উনার মধ্যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছিলো, “হা-যা হাবীবুল্লাহ মা-তা ফী হুব্বিল্লাহ”। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু বিদায় নিলেন। সুবহানাল্লাহ!
৬৩৩ হিজরী সনের ৬ই রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আজ সেই মহান ৬ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ত্রাণকর্তারূপে সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিবস মহাসমারোহে পালন শুধু প্রাসঙ্গিক বা আবশ্যিকই নয়; বরং একান্ত অত্যাবশ্যকীয়। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি সংবিধান আছে। এর ২(ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বাংলাদেশে আবির্ভাবের ইতিহাসটা কী। তা কী পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নের অবকাশ নেই? ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আমরা মূল্যায়ন করছি। ভাষা শহীদদের স্মৃতিচারণ করছি। ভাষা দিবস পালন করছি। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ইতিহাস রচিত হয়েছে ও হচ্ছে। স্বাধীনতা ঘোষণা দিবস, বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে। কিন্তু যে কণ্টকাকীর্ণ আন্দোলনের মুখে দেশবাসী, রাষ্ট্রভাষা বাংলা পেয়েছে, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান করতে পেরেছে ১৯৭১-এ ভূখ-ের স্বাধীনতা পেয়েছে; তার ক্রমবিকাশে মূল যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবদান অনিবার্য এবং অনস্বীকার্য; সে মহান দ্বীন ইসলাম কী এমনিতেই বাংলাদেশে এসেছে? রাষ্ট্রভাষা বাংলার পেছনে যদি শত ভাষা শহীদদের, ভূখ-ের স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লাখ শহীদের অবতারণা হয়, তবে এসবের উৎস ও মূল মহান দ্বীন ইসলাম উনার জন্য কি কোটি শহীদের রক্তের প্রয়োজন হয়নি? এবং সেসব মহান জিহাদ যারা পরিচালনা করেছেন উনারা কী বেমেছাল যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও পরম রূহানী যোগ্যতার অধিকারী চরম অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব নন? তাহলে সংবিধানে ও সরকারে সেসব মহান ইসলামী ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি নেই কেন? আলোচনা নেই কেন? সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় তৎপর বলে প্রচারে পঞ্চমুখ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কী সম্মানিত ইসলামী চেতনা নয়? পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিঃসৃত ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ’- এই কী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মূল উদ্দীপনা নয়? মরলে জান্নাত, বাঁচলে গাজী- এই ঈমানী বোধই কী সম্মুখ সমরে অকাতরে জান বিলিয়ে দেয়ার পরম আকুতি নয়? তাহলে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে অস্বীকার করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অবদানকে অবজ্ঞা করে কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। স্বীকৃত হতে পারে না। প্রকাশিত হতে পারে না। প্রচারিত হতে পারে না। দেশ ও জাতি পরিচালিত হতে পারে না। এবং সেই সাথে এদেশে যাদের উসীলায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম এসেছে উনাদের মূল্যায়নও নিষ্প্রভ হতে পারে না। যদি হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়। খ-িত করা হয়। অবমূল্যায়ন করা হয়।
লেখাবাহুল্য, এরূপ বিকৃতি, খ-ন আর অবমূল্যায়নের ধারাবাহিকতায় চলছে দেশের স্বাধীনতাউত্তর থেকেই। কিন্তু এর থেকে উত্তরণ অনিবার্য। এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষা কবচের সাথে অবিচ্ছেদ্য।
স্মর্তব্য যে, গরীবে নেওয়াজ, সুলত্বানুল হিন্দ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাইশী উনার চল্লিশ জন সহযাত্রীর বিশিষ্টজনের উত্তর পুরুষই হলেন- ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে যামানার ইমাম উনাকে চিনলো না, সে যেন জাহিলিয়াতের মধ্যে মারা গেলো।” নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!
প্রসঙ্গত সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মূল্যায়নের মানসিকতায় তথা অনুসরণের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সরকারসহ প্রত্যেক মুসলমানেরই দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে জানা, চিনা ও মানা। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের ভয়ঙ্কর ড্রাগ আতঙ্কে সারাদেশ একান্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতা এবং জনগণের সচেতনতা দরকার
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আরো সোনালী সমৃদ্ধি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভাষা আন্দোলনের সাত দশক এবং স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উর্দূকে বাদ দিয়ে হিন্দি বা ইংরেজির প্রাধান্য ভাষা দিবসের চেতনা নয়। পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চা মানে বিজাতীয় ও বিধর্মীয় সংস্কৃতির অনুকরণ ও অনুশীলন নয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আঙ্গিকে ভাষা দিবস পালন করলেই ভাষা আন্দোলন সার্থক হবে।
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নগরের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারলেই কেবল নগরমুখী জনস্রোত ঠেকানো যাবে
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জনসংখ্যা বোঝা নয় বরং জনসম্পদ জনশক্তিকে আরও দক্ষ করতে হবে।
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুদ ব্যয়ের কারণে আকার বাড়লেও সুফল নেই বাজেটের। সরকারের উচিত, ঋণের ধারা থেকে সরে এসে আভ্যন্তরীণ আয়ের দিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটকে গণমুখী করা।
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হিমাগারের ভাড়া বাড়ায় আলু এখন ‘গলার কাঁটা’ আসন্ন জুলাই-নভেম্বরে আলুর দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে- অন্তর্বর্তী সরকারের এ প্রতিশ্রুতি যেনো পতিত জালিম সরকারের মত কথার ফুল ঝুড়িতেই পর্যবসিত না হয়
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত পবিত্র ১৭ই শা’বান শরীফ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)