অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আরো বিপর্যস্ত হবে শিল্প খাত, ব্যবসা-বাণিজ্য।
আইন লঙ্ঘণ ও নিয়ম না মেনেই পাইকারি পর্যায়ে ২০% বাড়লো বিদ্যুতের দাম।
বাড়বে দ্রব্যমূল্যের দাম। সরকার কি দেশে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির সুত্রপাত করতে চায়?
, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়

গত ১২ বছরে বিদ্যুতের দাম ৯ বার বেড়েছে। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮% ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০% বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। সবশেষ দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন পাইকারি পর্যায়ে ৮.৩৯% বাড়ানো হয় দাম। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫.৩%।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশে পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২% বা ২০% বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। গতকাল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির জন্য গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ৬৬% দাম বাড়ানোর আবেদন করে তারা। এ বিষয়ে গণশুনানি শেষে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষণা দেয়, বিদ্যুতের দাম আপাতত বাড়ছে না। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এক মাসের মাথায় আপিল করে পিডিবি। এ আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিইআরসি বিবেচনায় নিয়ে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, যে প্রক্রিয়ায় পাইকারি পর্যায়ে ২০% বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলো তা একেবারেই দুরভিসন্ধিমূলক। কারণ মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে না বলে একবার তো আদেশ হয়ে গেছে। সেখানে রিভিউ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই রিভিউ আবেদনের ওপর আবার গণশুনানি হতে হবে। আদালত রিভিউ করে। সেখানেও ২ পক্ষের শুনানি হয়, তারপর সিদ্ধান্ত আসে। এই রিভিউ প্রস্তাবেও আবার গণশুনানি হতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের আবেদন ন্যায্য কি না। অথচ, দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এই শুনানি এড়িয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই ন্যায্য হয়নি, যৌক্তিক হয়নি, আইনসম্মত হয়নি। বরং আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বিইআরসির গণশুনানিগুলোকেও প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, গণশুনানিটা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গণশুনানিতে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় এবং তারপরে যে লজিক্যাল কনক্লিউশন আসে, সেগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো সম্পর্ক থাকে না। কারণ সরকার সিদ্ধান্তটা আগে নেয়। তারপর সেটাকে রেশনালাইজ (যৌক্তিক করে তোলা) করার চেষ্টা করে। রেশনালাইজ যখন করতে পারে না, তখনো সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকে। তার মানে এই গণশুনানির কোনো মানে নেই। এটা একটা নাটক ছাড়া আর কিছুই না।
এদিকে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী বলেছে, গ্রাহক পর্যায়ে এখনই দাম বাড়ছে না। তাই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছে, পাইকারিতে দাম বাড়বে, আর সেটা গ্রাহক পর্যায়ে বাড়বে না, সেটা তো হয় না। মন্ত্রীর এই ঘোষণা প্রতারণামূলক। পাইকারির সাথে গ্রাহক পর্যায়ের সম্পর্ক অবশ্যই রয়েছে। পাইকারিতে দাম বাড়লে সেটার প্রভাব গ্রাহকের ওপর পড়বেই। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিণতিতে দেশে সব জিনিসপত্রের দামও আরেক দফা বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের শিল্প-কারখানাগুলো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ২০% বিদ্যুদের দাম বৃদ্ধির পেছনে যুক্তি দেবে যে তারা ভর্তুকি দিচ্ছে, সেই ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে। আইএমএফও বলেছে ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে। এই ভর্তুকি কাদের দেওয়া হচ্ছে, কেন দেওয়া হচ্ছে এবং সেটা না দেওয়ার পথ কী এগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয় না। বিদ্যুৎখাতের বড় ভর্তুকি যাচ্ছে কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার কারণে। যে কেন্দ্রগুলোর দরকার ছিল না, যেগুলোর সময় বাড়ানোর দরকার ছিল না, যেগুলো উৎপাদন করেনি, তাদেরকেও টাকা দিতে হয়েছে। ১১ বছরে এর জন্য দিতে হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারের পুরো বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা জনগণকে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য না। মানুষকে বিদ্যুৎ না দিয়ে একটি গোষ্ঠীকে টাকা দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা। ফলে ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত জনগণই।
প্রসঙ্গত, মানুষ যখন তীব্র মূল্যস্ফীতির সঙ্গে টিকে থাকার সংগ্রাম করছে, ঠিক তখনই জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে পরিবহন ব্যয় চরম বৃদ্ধি করেছে। ভয়াবহভাবে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দামও অসম্ভব বেড়ে গেছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে, অনেকের ব্যবসাও বন্ধ হয়েছে। ফলে আয় কমে এসেছে দেশের একটি বড় অংশের মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে যদি বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হয়; সেটা পাইকারি হোক কিংবা গ্রাহক পর্যায়েই হোক তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করবে। এরফলে শুধু মরার উপর ফাঁড়ার ঘা নয় বরং জীবিতদেরও মরার কারণ হবে।
সরকারের উচিত, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করে বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা দূর করা। বিদ্যুৎ খাতের উপর থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করা। বর্তমানে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি তেলের উপর ট্যাক্স আরোপ করে রেখেছে, জ্বালানি আমদানির উপরও ট্যাক্স আরোপ করে রেখেছে। আবার উৎপাদিত বিদ্যুতেও ট্যাক্স আরোপ করে রেখেছে। যে কারণে একটা পণ্যে তিনবার ট্যাক্স বাড়ছে। এই ট্যাক্স যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে বিদ্যুতের দামও কমানো সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যেগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দিতে হচ্ছে সেগুলোর চুক্তি থেকে সরে আসা।
ছহিবে পবিত্র সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম উনার এদেশে, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে গাউছুল আ’যম সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশেষ মূল্যায়ন করতে হবে। পবিত্র ইলমে তাছাউফ সর্বাত্মক প্রচার-প্রসার করতে হবে।
০২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ২৯শে শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! রাইহানাতা মুর্শিদিনা, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, নাক্বীবাতুন নিসা, আকরামে রহমানী, হাবীবাতুল্লাহ, ত্বাহিরাহ, ত্বইয়িবাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম আলাইহিমাস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গঃ ভেষজ উদ্ভিদ ও রফতানী
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘কবর’ ‘জাহান্নাম’ ‘জান্নাত’ ইত্যাদি ইসলামী শব্দের কথা বললেই শুধু হবেনা। শুধুমাত্র প্রসঙ্গ টানলেই হবেনা। এখন দেশে ইসলামী আবহের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বিশেষত মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে মুসলমানদের জান্নাতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ বর্গকিলোমিটার নারিকেল দ্বীপ রক্ষায় মিথ্যার বেসাতির বিপরীতে ৩ লাখ একর বেদখল বনভূমির প্রতি নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভূমিকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সাংঘর্ষিক। শহীদদের সাথে প্রতারণা। পরিবেশ উপদেষ্টার সম্যক উপলব্ধি প্রয়োজন।
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তরুণদের বিদেশমুখিতার হার দেশের জন্য আশঙ্কাজনক শিক্ষার মান উচ্চ, গবেষণার পরিবেশ সমুন্নত এবং কর্মসংস্থান প্রসারিত করে মেধা পাচার রোধ করতে হবে
২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা শিশুরাও এখন মাদকের বাহক, ক্রেতা, এমনকি মওজুদ কারক কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায় মদ ও মাদকের প্রতি কঠিন ঘৃণাবোধের সঞ্চার সম্ভব
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দেশে মারাত্মকভাবে বাড়ছে বিষন্নতা তথা আত্মহত্যার প্রবণতা প্রতিরোধে ইসলামী মূল্যবোধের বিস্তারে বিকল্প নেই
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গঃ স্বদেশের প্রতি মুহব্বত দাবিদার মুসলমান এবং স্বদেশের প্রতি আঘাত।
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্ত সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বর্তমান সরকারের অরাজকতায় মধ্যবিত্তরাও এখন পুষ্টি সঙ্কটে ভুগছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতমূখী প্রবণতার অভাবই এর মূল কারণ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খোদায়ী রহমতে সব কিছুতে সচ্ছলতা হাছিল সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নাটক-সিনেমার মাধ্যমে মুসলিম প্রজন্মকে দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরকালের কথা স্বরণ করে মুসলিম উম্মাহকে বিধর্মীদের এসব ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)