অস্তিত্ব সংকটে নেত্রকোনার নদ-নদী, বিরূপ প্রভাব জীবন-জীবিকায়
, ৩রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওর অধ্যুষিত নেত্রকোনা জেলা। একসময় নদী পথই ছিল জেলার মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীপথ প্রায় বিলীন। বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক নদীও। বর্তমানে যে কয়েকটি নদ-নদী আছে, সেগুলোও রয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে নদীনির্ভর কৃষি অর্থনীতিসহ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সাতটি বড় নদীসহ ১২২টি ছোট-বড় নদী ও খাল ছিল। বড় সাত নদী হলো সোমেশ্বরী, কংস, মগড়া, উব্দাখালী, ধনু, ভোগাই ও গুমাই। এগুলোর দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কিলোমিটার। ছোট-বড় ১১৫টি নদীর দৈর্ঘ্য ৫১২৫.৬ কিলোমিটার। বর্তমানে এগুলো খালে পরিণত হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এসব নদী-খালের বিভিন্ন অংশ দখলে নিয়ে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরে ধান চাষ করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় সচেতন মহলের ধারণা, জনগণ একদিকে নদীর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অপরদিকে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।
কংস, মগড়া, সোমেশ্বরী, উব্দাখালী ও ধনু নদীর দুই পাড়ের কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, তারা আগে নদীর পানি দিয়ে সারা বছর গৃহস্থালির কাজ করতেন। বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার চিন্তা করতে হতো না তাদের। অথচ এখন আর জমিতে সেচ দেওয়ার মতো পানি নেই। সব নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার কৃষক জাকির হোসেন ও দুর্গাপুরের আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগেও তাদের এলাকার জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু প্রভাবশালী মহল ইতিমধ্যে নদী-খালগুলো দখলে নিয়েছে। দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর অজুহাতে দখল করছে। কেউ কেউ সুবিধা অনুযায়ী নদী থেকে বালু তুলে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার অনেক স্থানে অবৈধভাবে ইটের ভাটা বসিয়ে বালুর ব্যবসা করা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান বলেন, ‘৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার তিনটি নদী ও বেশ কয়েকটি খাল খননের কাজ চলমান আছে। আরও ২৪টি খাল খননের প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেগুলোর কাজ শুরু হবে।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গত বছরের মাঝামাঝিতে চীনের জিয়াংজি প্রদেশে বন্যায় রেকর্ড ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নতুন পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকা, চাষির মাথায় হাত
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হাসিনাকে ফেরতের প্রশ্নে নিরব ভারত
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিদ্যুৎ খাতের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গত ১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৮৫৪৩ জন, আহত ১২৬০৮
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চার পার্সেন্ট ঘুষ না দিলে জমির দলিল হয় না!
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
টিউলিপকে লন্ডনের ফ্ল্যাটদাতা কে এই মোতালিফ
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন ভবঘুরেদের আড্ডাখানা
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আড়ালে হাজার কোটির ই-কমার্স কেলেঙ্কারি
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘নাগরিক শক্তি’র সঙ্গে ছাত্রদের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির’ চিন্তা-ভাবনার সম্পর্ক নেই -ইউনূস
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আদালত পাড়ায় পুলিশ ছিল ‘নির্বিকার’
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে -ড. মঈন খান
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)