আক্বল খাটান!
অপ্রচলিত উৎস থেকেও একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস পাবেন; নিষ্ঠাবান হলে পোল্ট্রি বর্জ্য থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সম্ভব চালের কুঁড়া থেকে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ।
, ১৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৯অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সম্পাদকীয়
বাবুল ইলম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আক্বল হল রিজিকের অর্ধেক। ”
মূলত: আক্বলের সাথে আমল বা পরিশ্রম ও নিষ্ঠা জড়িত হলে সোনার বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থেই সোনা হয়ে উঠতে পারতো। সোনার বাংলার সব কিছুতেই সোনা। অভাব নেই কিছুতেই। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানী তেল থেকে ভোজ্যতেল কোনটারই অভাব নেই।
বৃটিশ থেকে এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখনও শুধু মানসিকভাবে বৃটিশ পদলেহী মনোভাব বা হীনমন্যতা বিদ্যমান নেই। বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সে বৃটিশ ধারার প্রক্রিয়াই বিরাজমান। বিদ্যুৎ থেকে ভোজ্যতেল সব ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। প্রচলিত পন্থায়ই সব প্রক্রিয়া। অথচ অপ্রচলিত অনেক উপাদান থেকেও যে আমাদের জরুরী সব প্রয়োজন মেটানো সম্ভব সেদিকে যেমন নেই উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি তেমনি নেই যথাযথ সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, সারাদেশে এক লাখ ২০ হাজার পোল্ট্রি খামার রয়েছে। এ খামারগুলোকে বায়োগ্যাসের ব্যবস্থাপনায় এনে পোলট্রি বর্জ্য থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন সম্ভব। ৫০ লাখ মানুষ পোল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে এ শিল্প গ্রামীণ কর্মসংস্থানের দ্বিতীয় বৃহৎ উৎস। এ সব খামারকে বায়োগ্যাস প্লান্টের আওতায় আনা হলে সেখান থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
জনৈক পোল্ট্রি খামারি মুজিবুর রহমান বিবৃত তথ্য থেকে জানা গেছে, পোল্ট্রি খামারের বর্জ্য ব্যবহার করে সে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে। এতে কারিগরি সহায়তা দেয় রহমান রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি।
সে বলে, এ প্লান্ট ব্যবস্থাপনা স্থাপনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। ৫০ ঘনমিটারের এ বায়োগ্যাস প্লান্ট ব্যবস্থাপনা থেকে বর্তমানে তিন হাজার ৫শ’ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
সে আরও জানায়, এ ব্যবস্থাপনা থেকে তার ব্যক্তিগত চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য আশপাশের আরও ১৫টি বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা চলছে।
উল্লেখ্য বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুদূর এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, গ্রিস প্রভূতি দেশ।
এদিকে বর্জ্যরে মধ্যে যেসব ধাতব পদার্থ বিদ্যমান, তা নলকূপের পানির সঙ্গে ঘটাতে পারে বিষক্রিয়া। তাই দহনক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন করছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, ভারতসহ অনেক দেশ। ভারত ও গ্রিস বেশ আগে থেকেই চালু করেছে ডিকার্বক্সিলেশন বা কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রক্রিয়া। এর ফলে কলকারখানায় উৎপাদিত ক্ষতিকর গ্যাস যেমনÑ সালফার-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে মিশে গ্রীন হাউসের ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করতে পারে না। চীন, জাপান ও ভারতে বর্জ্য থেকে গ্যাস তৈরির ক্ষেত্রে বর্জ্য পদার্থগুলোকে পরিণত করা হয় তরলে। এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয় স্মেল্টিং ইবারা ফ্লুইডাইজেশন পদ্ধতি। পরে তা থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি উৎপাদন করা হয় থার্মোসিলেক্ট জেএফই গ্যাসিফিকেশন সিস্টেমে। জানা গেছে, গ্রীসের পেত্রা শহরে পরিত্যক্ত তরল থেকে দৈনিক উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে প্রায় ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এবং ২৬ কিলোওয়াট তাপশক্তি।
এদিকে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় গাঁজন বা ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায়ও। এতে বর্জ্যরে সেলুলোজ বা অন্যান্য জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয় ইথানল। তবে বর্জ্যে চিনি বা ওই জাতীয় পদার্থ থাকলে তা থেকে অ্যালকোহল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। সাধারণত বায়ুর অনুপস্থিতিতে সম্পন্ন করা হয় ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া। যেখানে ঘটাতে পারে অ্যালকোহল ও অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় এস্টার তৈরির প্রক্রিয়া বা এস্টারফিকেশনও। তা থেকে তৈরি হতে পারে বায়োডিজেল। পরে তাপীয় বিয়োজন বা পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব ইথেন বা মিথেন গ্যাস। আর গ্যাস থেকে টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া বেশ পুরনো।
বলাবাহুল্য বাংলাদেশে শুধু ১ লাখ ২০ হাজার পোল্ট্রি বর্জ্যই নয় গৃহস্থালী বর্জ্যও প্রতিদিন হয় লক্ষ লক্ষ টন। এসব বর্জ্য সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দ্বারা আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাস দুটোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে পারি। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট থেকে উত্তরণ লাভ করে কথিত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি।
এদিকে দেশে এই প্রথম বারের মতো ধানের পালিশ (গুঁড়া) দিয়ে উৎপাদিত হচ্ছে কোলষ্টোরেল মুক্ত খাবার তেল। সম্ভাবনাময় এই শিল্প কারখানাটি স্থাপিত হয়েছে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায়। রশীদ ওয়েল মিল নামের এ কারখানাটি প্রায় ১২ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
জানা গেছে, অটো রাইস মিলের পালিশে ২৫-২৬ ভাগ তেল থাকে। তেল বের করার জন্য ‘দ্রাবক নিষ্কাশন পদ্ধতি’ ব্যবহার করে প্রথমে পালিশকে গুটিতে রূপান্তর করা হয়। এরপর গুটি হতে ক্রুড ওয়েল বা অপরিশোধিত তেল পাওয়া যায়। সেই তেল রিফাইনারীতে কয়েকটি ধাপে পরিশোধন করে ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
আবার এই ভোজ্যতেল উৎপাদনের পাশাপাশি
বেশ কয়েকটি লাভজনক উপজাত দ্রব্যও পাওয়া যায়। এসব উপজাত দ্রব্যের মধ্যে প্রধান ডিওয়েল্ড রাইস ব্র্যান্ড। যা পশু ও মাছের খাদ্য তৈরীতে ফিড ফ্যাক্টরীতে বিপুল পরিমাণে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ক্রুড ওয়েল, গাম (আঠা জাতীয় পদার্থ) ও ফ্যাটি এসিড যা সাবান তৈরীতে ব্যবহৃত হয়, স্পেন আর্থ (পোড়ামাটি) আগরবাতি ও মশার কয়েল তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এসব উপজাত দ্রব্য হতেও বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জিত হতে পারে।
উল্লেখ্য বহরপুর এলাকার পর ঢাকার অদূরে ধামরাইয়েও কুঁড়া থেকে ভোজ্য তেলের শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ৫০০ টন চালের কুঁড়া থেকে ১০০ টন অপরিশোধিত তেল এবং ৪০০ টন ক্রুড ওয়েল ও রাইস ব্র্যান্ড উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য বাংলাদেশ থেকে বছরে ১৫ হাজার টন ধানের কুঁড়া যাচ্ছে ভারতে। এ কুঁড়া দিয়ে ভারতে তৈরী হচ্ছে উন্নতমানের ভোজ্যতেল, পোল্ট্রি ফিড ও মশার কয়েল। আর বাংলাদেশে বছরে সামগ্রিকভাবে ৪০ লাখ টন কুঁড়া উৎপাদন হয়। ওই কুঁড়া থেকে বছরে ১৫ লাখ টন ভোজ্যতেল উৎপাদন সম্ভব। যাতে করে বাংলাদেশে আর ভোজ্যতেল আমদানির কোনো প্রয়োজন থাকেনা। এতে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশী মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব।
মূলতঃ সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত, নেক সংস্পর্শ তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যাংক গ্রাহকদের খালি হাতে বা নাম মাত্র অর্থে ফেরানো যাবে না কথিত অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিশ্চয়তার পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিশ্বে জ্বালানীর দাম এমনেই কমছে পাশাপাশি শুধুমাত্র কাঠামো সংস্কারই ১৫ টাকা কমানো সম্ভব হলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না কেন অন্তর্বর্তী সরকার? জ্বালানী তেলের দাম কমালে দ্রব্যমূল্যের দাম সহজেই কমবে
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরূপ আরাকান আর্মিকে এক্ষুনি প্রতিহত করতে হবে ইনশাআল্লাহ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দেশে সাড়ে ৩ কোটি শুধু শিশুই সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত এবং সব প্রাপ্ত বয়স্করাও ক্ষতিগ্রস্থ সিসার ক্ষতি থেকে বাঁচতে সুন্নতী তৈজসপত্র ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের জিনিস ক্রয়ে নিবেদিত হতে হবে ইনশাআল্লাহ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাব্যার্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আরো ক্ষমতা দিয়ে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জ্বালানী তেলের দাম এক্ষুনি কমাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনেক কিছু করার প্রচারনা চালালেও জিডিপি এবং দেশের উন্নয়নের মূল ভিত্তি অর্থনীতির লাইফ লাইন এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কিছুই করছে না
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, মুসলমানের দ্বীনি অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পালনের আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সিঙ্গাপুর, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও বিভিন্ন মহলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবী জোরদার হচ্ছে, সংস্কারের দাবীদার সরকার কী করে নির্বিকার থাকতে পারে?
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্যাপকভাবে বাড়ছে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও হয়রানী জান-মাল এবং সম্মান হিফাজতে সরকারকে এক্ষুনি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাচারকৃত ১৭ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে শামুকের মত ধীর গতি বরদাশতের বাইরে
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)